কাশ্মীরের পেহেলগাঁও হামলা পরবর্তী উত্তেজনা: দুই দেশ একে অপরকে কোণঠাসা করতে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিলো
কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় এবং ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে কোণঠাসা করতে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। পানি চুক্তি থেকে শুরু করে বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা, এরপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পর্যন্ত ব্যাপক সংঘাত শুরু হয়।
ভারতের প্রথম পদক্ষেপ: সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত
হামলার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারত সিন্ধু পানিচুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে, পাকিস্তানি মদদ নিয়ে ভারতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। পাকিস্তান এ পদক্ষেপকে “যুদ্ধের সমতুল্য” আখ্যা দিয়ে অন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়, তবে ভারত এতে পাত্তা না দিয়ে ৬টি নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করে, যার লক্ষ্য ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন।
পাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপ: বাণিজ্য যুদ্ধ
এদিকে, ভারত পাকিস্তানি সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে এবং পরোক্ষ ট্রানজিটও বাতিল করে। জাহাজ চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত।
পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিলো, তাদের বন্দরে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ নিষিদ্ধ করে এবং মুদ্রা তহবিলের পর্যালোচনা নিয়ে ভারতকে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার পদক্ষেপ নেয়।
পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: ‘আব্দালি উইপন সিস্টেম’
পাকিস্তান তখন ‘আব্দালি উইপন সিস্টেম’ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালায়, যা ‘সিন্ধু মহড়া’ অংশ হিসেবে দাবি করা হয়।
শেষে সরাসরি হামলা: ৭ মে
এমন উত্তেজনার মধ্যে, ৭ মে ভোরে সরাসরি হামলায় জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এই হামলা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আরও তীব্র পরিণতির ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।