মাগুরার আলোচিত আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে গত রোববার (৪ মে) চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, মাগুরা সদর হাসপাতালের দুই নার্স এবং প্রধান আসামি হিটু শেখের এক প্রতিবেশির সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
এ পর্যন্ত মামলার পঞ্চম দিনে ২৩ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হন। মামলার বাদীসহ আরও ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, “মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আজ (৫ মে) আরও ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। মামলার সব সাক্ষ্যগ্রহণ শিগগিরই সমাপ্ত করা হবে, যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। আশা করা হচ্ছে, মে মাসের মাঝামাঝির দিকে এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।”
এদিকে, ৮ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী আছিয়া। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ৬ মার্চ শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মরদেহ ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নিয়ে আসা হয়, এবং শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।