ফেনী জেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলুকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ১ মে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামে অনুষ্ঠিত সালিসি বৈঠকে নারীর প্রতি অসদাচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার (৪ মে) ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে, সেই দিন সন্ধ্যায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল ও সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার স্বাক্ষরিত আরেক বিজ্ঞপ্তিতে তার সাংগঠনিক পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১ মে রাতের সালিসি বৈঠকে নারীদের প্রতি অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়ার পর দেলোয়ার হোসেন দেলুকে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদসহ দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, দলের কাছে কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নেওয়া হবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তির কার্যক্রম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তার পদ প্রথমে স্থগিত করা হয়, পরে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু লাঠি নিয়ে দুই নারীকেও নাকে খত দেওয়াচ্ছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই নারীকে তাদের ছেলের অপরাধের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, এবং পরে নাকে খত দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া, এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় সূত্র জানায়, মধ্যম মাথিয়ারা গ্রামের জাহাঙ্গীর সরকারের বাড়ি থেকে কয়েক মাস আগে কবুতর চুরির ঘটনা ঘটে, এবং সর্বশেষ হাঁস চুরি হওয়ার পর সন্দেহভাজন যুবক রাকিব ও বিজয়ের বিরুদ্ধে সালিসি বৈঠক করা হয়। বৈঠকের সময় রাকিবের মাকে নাকে খত দেওয়ার পাশাপাশি বিজয়ের মাকেও একই শাস্তি দেওয়া হয়।