বরগুনা আমতলী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ওয়াপদা ব্লকের পাড়ে পৌরসভায় কর্মরত এক দম্পতি ঘুড়তে গিয়ে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.০০টার দিকে মাদক সেবীদের হাতে হামলা ও ছিনতাইয়ের শিকার হলেন।
পরিবার সূএে জানা যায়,আমতলী পৌরসভায় কর্মরত শফিকুল ইসলাম রুবেল ছুটিতে তার স্ত্রীসহ ঈদের দিন বিকালে আমতলী ১নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা ব্লকে ঘুরতে যান, তখন ট্রলারে পায়রা নদীতে ঘোড়ার জন্য পরিবার সহ ওঠেন।ট্রলারে অন্য যাএীরাও ছিলো।
তখন ঐ ট্রলারে সাইফুল নামে এক যুবকের সাথে অন্য যাএীদের সাথে মাদক খেতে নিষেধ করায়, কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার রুবেল ছুটে গিয়ে পৌরসভার স্টাফ পরিচয়ে দিয়ে বলেন, এসব করছ কেন এগুলো ঠিক না বলে মাদক সেবন করতে বাধা দিলে সাইফুল রুবেলের পরিচয় পেয়েও তার সাথে খুব নোংরা ভাষায় গালাগালি করে, স্ত্রীর সামনে এসব বলায় রুবেল একটু উওেজিত হয়ে সাইফুলকে একটা থাবর দেয়।
পরে ফোন দিয়ে তার দলবল সহ প্রায় ৩০-৪০ জনের একটা দল ট্রলার থেকে নামার সাথে সাথে রুবেল দম্পতির উপর রড, লাঠি সোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে,মোবাইল, গলার স্বর্নের চেইন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়,এতে রুবেল নাকে গুরত্বর আঘাত পায় নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরন হতে থাকে।
আহত রুবেলকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ বিষয়ে রুবেলের শ্বশুর বাদি হয়ে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রুবেলের স্ত্রী বলেন,মাদকসেবনে বাঁধা দিতে গিয়ে আমার স্বামী(রুবেল)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমার সাথেও খারাপ আচরন করে আমাদের সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়, আমি এর বিচার চাই।
উল্লেখ্য আমতলীতে মাদক ও সন্ত্রাস দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারনে প্রশাসনের উদাসীনতা অনেকে বড় বড় অপরাধ করেও প্রকৃত অপরাধীরা থাকছে আইনের ধরা ছোয়ার বাইরে, প্রভাবশালীর লোক হওয়ায় অনেক হামলার ঘটনার মামলা নিচ্ছেনা প্রশাসন এমন ও অভিযোগ পাওয়া যায়।
এখনি প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা ও কঠোর হস্তক্ষেপ সত্য উদঘাটনে সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল হবে বলে মনে করছেন পৌরসভার সাধারণ মানুষ। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন,মামলার এজাহার হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর / মনিরুল ইসলাম
আরও পড়ুন
