জামালপুরের মেলান্দহে এক শ্রমিকের স্ত্রীর ঘরে গিয়ে ধরা পড়ার পর ছাত্রলীগ নেতাকে ১৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া সেই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ ত্রান ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন খান ও ২নং চর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

বুধবার ( ২০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টায় উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২নং চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, ২নং চর এলাকার লিটনের স্ত্রী শিখা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম করছিলেন ছাত্রলীগ নেতা আমিনুর । বুধবার দিবাগত রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়ে ঘুমিয়ে রেখে ওই নারী ও আমিনুর স্বামীর বিছানার নিচে অবৈধ মেলামেশার প্রস্তুতির সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়। পরে পরকীয়ায় জড়িত হওয়ায় স্বামী তাকে বৃহস্পতিবার সকালে তালাক দেন এবং আমিনুর রহমান ও সেই নারীর এবং পরকীয়াকারী নারীর স্বামী লিটনের সম্মতিতে এলাকাবাসী তাদের বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। বিয়ে পড়ানোর সময় স্থানীয় কয়েকজন কাজী উপস্থিত ছিলেন।

পরকীয়াকারী শিখা বেগম বলেন , ৭ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে লিটনের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের ২মাস পর থেকেই আমিনুরের সাথে পরিচয় তার পর বিয়ের আশ্বাসে মাঝে মাঝেই আমিনুর রাতে আমার ঘরে আসতো ও আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো।

এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কৃষিবিদ কামরুল ইসলাম আল আমিন জানান, বিষয়টা আমি জানতে পেরেছি ঘটনা যদি সত্যি হয় এমন ন্যাক্কারজনক কাজে তার যদি সংশ্লিষ্টতা খুজে পায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ-কে নির্দেশ দিয়েছি তাকে বহিষ্কার করতে।

পত্রিকা একাত্তর /সাকিব আল হাসান নাহিদ