নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে সড়কের ১০টি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী গাছ বহনকারী ৫টি ভ্যানগাড়ি, গাছ কাটার মিস্ত্রিদের আটক করেছে। খবর পেয়ে সোনারায় ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন।
সোমবার (৩০শে মে) দুপুরে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কিসামত এলাকার মাঝাপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। কিসামত এলাকার রাস্তার দু’ধারে থাকা ছোট-বড় অসংখ্য গাছ রয়েছে। সেই রাস্তার ধারের ১০টি গাছ কেটে লগ তৈরি করে রেখেছিল মিস্ত্রীরা। বাকি গাছ কাটার সময় স্থানীয়রা গাছকাটার কাগজ দেখতে চাইলে মিস্ত্রীরা কাগজ দেখাতে না পারলে, এলাকাবাসী গাছ কাটার জন্য তাদের নিষেধ করে।
এসময় কিসামত এলাকার স্থানীয় জনগণ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে জানালে, তিনি অফিস সহায়ক আলম বাদশাকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার সকাল ১০টা থেকে সোনারায়ের কিসামত এলাকার মাঝাপাড়ায় ৭ জন গাছ কাটার শ্রমিক রাস্তার দু’ধারে থাকা ছোট-বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কাটছিলো।
৪০টি গাছ কাটার মধ্যে ১০টি গাছ কাটার পরে স্থানীয় শিপন নামে একব্যক্তি গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে গাছ কাটার মিস্ত্রীরা জানান, রশিদ নামে জনৈক এক গাছ ব্যবসায়ী তাদের রাস্তার ৪০টি গাছ কাটতে বলেছে এবং কোন কোন গাছ কাটা হবে সেসব গাছ তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
স্থানীয় শিপন বলেন, সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরীকে ঘটনাটি অবগত করলে তিনি আমাকে এখান থেকে চলে যেতে বলেন।
গাছকাটা শ্রমিক ডালিম ও মনিরুল ইসলাম জানান, এই রাস্তার ৪০টি গাছ কাটার জন্য আমাদের হাজিরা হিসেবে নেয় স্থানীয় গাছের পাইকার আব্দুর রশিদ। আব্দুর রশিদ সকালে এসে আমাদের ৪০টি গাছ দেখিয়ে দিয়ে চলে যান। আমরা তার কথা মতো গাছ কাটা শুরু করি। ৪০টি গাছের মধ্যে ১০টি গাছ কাটার পর স্থানীয়রা এসে আমাদের গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। আমরা শ্রমিক মানুষ ৬’শত টাকা হাজিরা হিসাবে ৭ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছি। আমরা রশিদকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসার জন্য বললেও তিনি আর এখানে আসছেন না।
গাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ জানান, সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আমি গাছগুলো ক্রয় করেছি। তিনি আমাকে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী গাছ কাটার বিষয়ে কোনো জানেন না বলে জানিয়েছেন।
সোনারায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. সামসুল ইসলাম গাছ কাটার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিকালে কাটা ১০টি গাছ জব্দ করে ৫টি ভ্যানে করে যাবতীয় মালামাল উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে কাগজপত্রাদি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ