করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে নীলফামারীর ডোমারে ১২–১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকার ১ম ডোজ প্রদান করছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্রদেরও দেওয়া হচ্ছে টিকা।

শনিবার (২২শে জানুয়ারী) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ডোমার উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বাস্তবায়নে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগিতায় টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন—ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এমওডিসি) ডা. আবুল আলা, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. বেলাল উদ্দীন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. হাবিবুর রহমান, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ, ডোমার জামেয়া ইসলামিয়া রিয়াজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফজলুর রহমান, ডোমার বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাহমুদ বিন আলম, উৎসর্গ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি মো. নুর আলম প্রমুখ সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ ও জানো প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।

ডোমার বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাহমুদ বিন আলম জানান, ডোমার জামেয়া ইসলামিয়া রিয়াজিয়া মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি সাহেবের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও প্রশাসনের সহযোগিতায় রিয়াজিয়া মাদ্রাসার ১২ বছরের ঊর্ধ্বের সকল ছাত্রদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করায় স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এমওডিসি) ডা. আবুল আলা জানান, এ পর্যন্ত ডোমার উপজেলায় ১২–১৭ বছর বয়সী প্রায় বিশ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে ফাইজারের ১ম ডোজের টিকা প্রদান করা হয়েছে। যারা বাকি রয়েছে তাদেরকেও অতিশীঘ্রই টিকার আওতায় আনার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ই জানুয়ারী ডোমার আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন—ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম। যা এযাবৎ শিক্ষা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চলমান রেখেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

পত্রিকা একাত্তর / আজমির রহমান রিশাদ