চলাচলের অযোগ্য সড়কে ধানের চারা রোপণ

উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার

উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার

২ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

চলাচলের অযোগ্য সড়কে ধানের চারা রোপণ

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা গ্রামের বোতলগঞ্জ বাজার থেকে ৪.২৫ কিলোমিটার রাস্তাটির বেহাল দশা হয়েছে। রাস্তার এমন হালে যানবাহন চালকরা দিশেহারা, পথচারীরাও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। সড়কটি দিয়ে আমবাড়ী হাট হয়ে ডোমার সদরে যান অসংখ্য মানুষ।

এলাকাবাসী জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য অনেক কয়েকবার মাপযোগ, পরিকল্পনা করলেও পরবর্তীতে আর কোনো অগ্রগতি হয় না। বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে থমকে আছে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র ৪.২৫ কিলোমিটার সড়কটি এখন সবার গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

জানা যায়, ৩/৪ বছর আগে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বটতলী বাজার থেকে রেলঘুন্টি পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করা হয়, রেলঘুন্টি থেকে বোতলগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এখনো রাস্তাটি পাকা করা হয়নি।

শুকনো মৌসুমের চাইতে বর্তমান চলাচল আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার কিছু কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যে গর্ত পায়ে হেঁটে পার হওয়াই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যার কারণে এই অঞ্চলের কৃষক ও হাজার হাজার মানুষ তাদের কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য উপকরণ পরিবহন করতে পারছেন না। এমনকি ভ্যানগাড়িও চলাচল করতে পারছে না।

যার কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধানসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কম মূল্যে খরিদ্দারের কাছে বিক্রি করছেন। এতে করে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর।

এছাড়াও রাস্তাটির বোতলগঞ্জ বাজার স্থানের একটি রাস্তার দুর্ভোগের মাত্রাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। সড়কটির এমন দশায় এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। প্রতিবাদ স্বরূপ, এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে সড়কটির মাঝে ধানের চারা রোপণ করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেই রাস্তা দিয়ে মানুষ ভ্যান ও অটোরিকশা চলাচল করতে পারে না। সরকার থেকে অনেক টাকা ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যরা পেলেও রাস্তাটির কোনো সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করে দেয় না।

এলাকার বাসিন্দা মন্টু মিয়া বলেন, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এসব সুবিধা থেকে অনেক দূরে আছি। আমরা এখনও চরমভাবে অবহেলিত। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন না করা পর্যন্ত শহরের সুবিধা কখনোই গ্রামে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই গ্রামীণ রাস্তাটিকে দ্রুত আধুনিকায়ন করে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা সচল করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এবিষয়ে ২নং কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রশিদুল ইসলাম (রোমান) বলেন, আগামীকাল ২/৩ ট্রাক বালু ফেলানো হবে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এই রাস্তাটি মেরামত করার বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করবো।

পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news