কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ির মধ্যম উমখালী গ্রামে নিজ বৃদ্ধ শ্বাশুড়ি ও মমতাজ বেগমকে ৬ টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যা করে মাঠির নিচে পুতিয়ে রেখেছে পুত্রবধূ রাশেদা বেগম।
হতভাগা নিহত মমতাজ বেগম (৭০) স্থানীয় মৃত গোলাম কবিরের স্ত্রী। আর ঘাতক রাশেদা বেগম নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীরের স্ত্রী। রামু থানা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে আটক করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীরের স্ত্রী রাশেদা বেগমের সাথে শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। সেই কলহের জের ধরেই ১৫ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাকে গলা কেটে হত্যা করে রাশেদা বেগম। পরে সেই লাশ ৬ টুকরো করে বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তাভর্তি করে গর্তে পুঁতে রাখে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৬ জুলাই (শনিবার) দুপুরে রামু থানা পুলিশ বস্তাভর্তি মমতাজ বেগমের লাশ মাঠির নিচ থেকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পুলিশ পুত্রবধূ রাশেদার স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করে।
জানা গেছে, নিহত শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম খুনি পুত্রবধূ রাশেদা বেগমের আপন ফুফু।স্থানীয় ইউপি সদস্য দুদু মিয়া হত্যা কান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পত্রিকাএকাত্তর /এফ.করিম