সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে গিয়ে লাশ হলেন নড়াইলের যুবক

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি

১৩ জুন, ২০২২, ১ year আগে

সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে গিয়ে লাশ হলেন নড়াইলের যুবক

পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এবং জীবনে সাফল্য লাভের আশায় সৌদি আরবে

কাজের সন্ধানে গিয়ে আড়াই মাসের মাথায় লাশ হলেন নড়াইল সদর উপজেলার

ভদ্রবিলা ইউনিয়নের কেরামত শেখের যুবক ছেলে নজিবুল্লাহ (২২)।

নজিবুল্লাহকে বিদেশ পাঠাতে তিন দফায় দালাল চক্রের হাতে সাড়ে ৭লাখ টাকা

দিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন পিতা কেরামত শেখ। ঘটনা উল্লেখ করে এক নারীসহ

তিনজনের নাম উল্লেখ করে নড়াইল সদর আমলী আদালতে গত ১২ জুন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে,নড়াইল সদর উপজেলার মিরাপাড়া গ্রামের জলিল মিনার ছেলে

শাহাবুদ্দিন মিনা বাদী কেরামত শেখের স্ত্রীর ফুফাতো ভাই হওয়ার সুবাদে

তিনি ছেলে নজিবুল্লাহকে ৬লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাঠানোর মৌখিক

চুক্তি করেন।

শাহাবুদ্দিন মিনার ভগ্নিপতি নড়াইল সদর উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের সাইফুল

আব্দার সৌদি আরবে কর্মরত।কেরামত শেখ ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্যে গত ২৫

ফেব্রুয়ারি সাইফুল আব্দারের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও সাইফুলের শ্যালক

(রাবেয়ার চাচাতো ভাই) আমিনুর মিনার কাছে প্রথম দফায় ৩লাখ টাকা প্রদান

করেন।গত ১মার্চ আরো রাবেয়া ও আমিনুরের কাছে আরো ৩লাখ টাকা প্রদান করেন

কেরামত শেখ।

মোট ৬লাখ টাকা প্রদানের পর গত ১৭মার্চ নজিবুল্লাহ সৌদি আরবে

পৌঁছান।পরবর্তীতে নজিবুল্লাহর কাগজপত্র (আকামা) ঠিক করে দেয়ার কথা বলে

এবং সৌদি পুলিশের ভয় দেখিয়ে কেরামত শেখের কাছে আরো দেড়লাখ টাকা দাবি করেন

শাহাবুদ্দিন মিনা।

গরু বিক্রি করে ও ধার-দেনা করে দাবিকৃত দেড়লাখ টাকা প্রদান করেন কেরামত

শেখ।গত ৪জুন বাদী কেরামত শেখ সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্যলোকের মাধ্যমে

জানতে পারেন তার পুত্র নজিবুল্লাহকে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায় করেছে এবং

ছেলের মৃতদেহ সৌদি আরবের হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে শুনানী

শেষে এজাহার আকারে লিপিবদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পত্রিকা একাত্তর /হাফিজুল নিলু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news