ছাগল চুরির অপবাদে দু’ভাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি

১৬ মে, ২০২২, ১ year আগে

ছাগল চুরির অপবাদে দু’ভাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ছাগল চুরির অপবাদে দু’ভাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

রোববার (১৫ মে) সকালে লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত যুবকরা হলেন- মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০) ও একই গ্রামের রউফ শেখের ছেলে তরিক শেখ (২৩)। তারা সম্পর্কে পরস্পর চাচাতো ভাই।

বর্তমানে তারা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতক্ষ্যদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার (১৪মে) রাতে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাই মুন্সির একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির অভিযোগে ফরিদ ও তরিককে রোববার (১৫ মে) সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ধরে আনা হয়।

পরে নান্নু শেখের দোকানের পাশে দুটি গাছে দুইজনকে আলাদাভাবে বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। এ সময় কোটাকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সির নেতৃত্বে নান্নু শেখ, আজমল মুন্সি, ইজাজুল মুন্সি ও রমজান মুন্সিসহ ৪/৫ জন তাদের বাঁশের লাঠি ও মুগুর দিয়ে বেধড়ক পেটায়।

এছাড়া বিড়ির আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলেও আহতদের অভিযোগ। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলা ওই নির্যাতনের মধ্যে নান্নু মুন্সির বাড়ি থেকে খবর আসে ছাগল বাড়ি ফিরে এসেছে।

তখন ফরিদ ও তরিককে ছেড়ে দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কোটাকোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সি মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম, তবে আমি তাদের মারিনি। সন্দেহ থেকে তাদের মারা হয়েছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

পত্রিকা একাত্তর /হাফিজুল নিলু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news