সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের সীমান্তে চোরা কারবারীরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারি ও কালোবাজারি সুন্দরবন ও কালিন্দী নদী দুই রুটে চলছে রমরমা।
ওপার হতে নিয়ে আসছে গরু মাদক, এপার হতে দিয়ে আসছে নারী শিশু, দুই বাংলার ব্যবসা সফল। রাতের আধারে ভারতীয় অবৈধ্য গরুসহ নিয়ে আসছে মাদক। এদের রুখবে কে?
কৈখালী সীমান্তে চোরা কারবারীদের বেপরোয়া সমাধান চাই সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী। কৈখালী সীমান্ত দিয়ে মাত্র কয়েজন ব্যক্তি চোরাকারবার করে যাচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কৈখালী সীমান্ত টহল জোরদার ও চোরাইসেন্ডিগেট বন্ধের জন্য বেশ কয়েটি বিজিবি ক্যাম্প তৈরী করেছে,প্রতিটি ক্যাম্পে আছে জনবল ও অস্ত্র,তবে দুঃখের বিষয় এত গুলো বিজিবি ক্যাম্প থাকতে কিভাবে, কাদের সহযোগিতা ও ছত্রছায়ায় কৈখালী সীমান্তে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে প্রতিনিয়ত চোরাই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত সীমান্ত দিয়ে মাদক, গরুসহ মানব পাচার হচ্ছে নেই কোনো তৎপরতা।
এই চক্রের সাথে কি প্রশাসন সক্ষতা আছে,নাকি কালো টাকার দাপট আর নেতাদের ছত্রছায়ায় বুক খুলে কাজ করছে।
দৈনিক সাতঘরিয়া পত্রিকার তথ্য অনুসন্ধানে ও এলাকাবাসীর কাজ থেকে জানা যায় মাত্র ৮/৯ জন ব্যক্তির শিখর চিরদিনের জন্য উপড়ে ফেললে কৈখালী সীমান্তে চিরদিনের জন্য বন্ধ হবে গরু, মহিষ, মানব ও মাদক পাচার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন কৈখালী সীমান্তে চোরাকারবারিরা এতটা ভয়ংকর সব কিছু নিজ চোখে দেখে ও মুখ খুলবে না কেউ,গরু মাদকের পাশাপাশি পাচার হয় অসংখ্য নারী ও শিশু,পাশাপাশি সুন্দরী যুবতী নারীদের বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে ধর্ষণ করে পাচার করা হয় ভারতে এমন বহু ঘটনা ও ঘটেছে,যাহা অনেক সময় এমন পরিস্থিতির সম্মুখে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের সম্মুখীন ও হতে হয়।
এ সমস্ত চোরা কারবারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও আছে। গ্রেফতার হলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে কাল টাকার দাপটে জামিনে বাইরে আসে,এ চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে,আসলে এদের ক্ষমতার উৎস কোথায়,এটিও খতিয়ে দেখতে হবে,তথ্য অনুসন্ধ্যানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৈখালী ইউনিয়নের মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কয়েকটি মসজিদের ইমামদের সাথে কথা বলে জানা যায় অনেক সময় বিজিবি ক্যাম্প বর্ডার গার্ড সদস্যদের সাথে দেখামেলে অনেক চোরা কারবারিদের। তারা মনে করেন শুধু বিজিবি সদস্য নয় বিভিন্ন ক্ষমতাশীল, রাজনৈতিক নেতা প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় চলে আসছে চোরাকারবারি।
প্রশাসন কে এক্ষনি এদের কঠিন শাস্তির আওতায় না আনলে ধ্বংস হবে দেশ, ধ্বংস হবে যুব সমাজ, পাচার হবে সহজ সরল নারী ও শিশু।আর এইসব পাচারের শিকার হবে আপনার আমার আদরের বোন ও শিশুরা, প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত এদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে স্থায়ী সমাধান চাই সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী।
পত্রিকা একাত্তর/ মোঃ আলফাত হোসেন