ভোলার চরফ্যাসনে গৃহবধূ শাশ্বতী রায় চৈতীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১২ টায় চরফ্যাসন সরকারি টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ, জলবায়ু ফোরাম, ভোলা জেলা নাগরিক ফোরাম দক্ষিণ, টিম চিলেকোঠা, তারুণ্যের কণ্ঠস্বর প্ল্যাটফর্ম সহ বিভিন্ন শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা গৃহবধূ চৈতীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সঠিক তদন্ত, আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, এটা কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। প্রশাসনকে চৈতীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।
চৈতীর বাবা মাস্টার সুভাষচন্দ্র বলেন, ‘ওরা আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।’ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের নিকট মেয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে চরফ্যাসন পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ড কলেজ পাড়া এলাকায় শশুর বাড়ীর নিজ কক্ষে গৃহবধূ শাশ্বতী রায় চৈতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে চৈতীর বাবা বাদী হয়ে মেয়ের শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় শ্বশুর শমির মজুমদার ও স্বামী শাওন মজুমদার গ্রেফতার হলেও শাশুড়ী নিয়তি রানী এখনো পলাতক রয়েছেন।
পত্রিকা একাত্তর /শামছুদ্দিন খোকন