বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে সিদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বামী-সন্তানকে বেধে রেখে গৃহবধু (৩৮) কে ধর্ষণ ও মালামাল লুট করেছে দস্যুরা।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) গভীর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বুধবার (০২ মার্চ) বিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতা গৃহবধুকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামী বলেন, ডিপ্লোমা পড়ুয়া ছেলে ও আমরা স্বামী-স্ত্রী রাতে খেয়ে যে যার রুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গভীর রাতে সিদ কেটে একটি দস্যুদল আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। প্রথমেই আমাদের সবার হাতপা ও চোখ বেধে ফেলে তারা। পরে তারা আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে তারা দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫ হাজার ৫‘শ টাকা এবং আমার ছেলে রেডমি নোট টেন মডেলের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা। তারা চারজন ছিল, তাদের হাতে বড় বড় ধারাল দাও ছিল। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
নির্যাতিতা ওই নারীর ছেলে বলেন, আমরা আলাদা কক্ষে ঘুমিয়েছিলাম। রাতে ঘরে আমাকে এবং বাবা-মাকে আলাদে করে বেঁধে ফেলে দস্যুরা। মা চিৎকার দিলে, তারা মাকে চর মারে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সোহেল রানা কামাল বলেন, এই ধরণের ঘটনা এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি। পরিবারটি খুবই নিরহ। এদের উপর এমন অত্যাচার আসলেই খুবই ন্যাক্কার জনক। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, সিদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে মালামাল লুটের বিষয়টি শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই নারীর অভিযোগ দস্যুরা তাকে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ শুরু করে।
পত্রিকা একাত্তর/শেখ আবু তালেব