১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া রওশন- সোহেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের চা দোকানী বকুল বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী।
ভালোবাসা দিবসে যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ময়মনসিংহের ত্রিশালের প্রতিবন্ধী স্ত্রী রওশনআরাকে ঘাড়ে নিয়ে চলাফেরা করে খ্যাতি অর্জন করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করা যুবক সোহেল তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় উল্লেখ্য করলেও তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে বলে দাবি করেছে ঐ এলাকার জনসাধারণ।
তারা জানায়,তার নাম মোকলেসুর রহমান বকুল। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল হামিদ। সে স্বল্প শিক্ষিত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডিই পেরুইনি। প্রায় ২০ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের সাজ্জাদ আলীর মেয়ে শুরাতন বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের ৩ ছেলে ও ১কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তার ছেলেরা ওই চা স্টলটি চালাচ্ছে। তার ১ম স্ত্রী দাবি করা শুরাতন বেগম জানান, অনেক ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ায় সে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে এলাকায় স্ত্রী সন্তানদের রেখে চলে যায়। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,সে চলে যাওয়ার পর তাদের কোন খোঁজখবর রাখেনি। তিনি অনেক কষ্টে সন্তানদের বড় করছেন। তিনি টিভিতে দেখে বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন।
এদিকে, চা দোকানী বড় ছেলে সিহাব জানায়, তার বাবা তাদের ছোট অবস্থায় তার মার কাছে ফেলে রেখে যায়। তার মা অনেক কষ্টে তাদের বড় করেছে। তারা তার বোনের বিয়ে দিয়েছে। তিনি অনেকটা ক্ষোভের সাথে বলেন, সে দূরে থাকলেই ভালো। তার এ অন্তর্ধান আবার হঠাৎ এভাবে উদয়ে এলাকাবাসী বিস্মিত হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ তাদের ভালোবাসার গল্প বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহের ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজ্জামানকে তার পক্ষে তাদের উপহার সামগ্রী প্রদান ও খোঁজ খবর নেয়ার নির্দেশ দেন।
পত্রিকা একাত্তর/ ইয়াহিয়া খান রুবেল