খুলনার বটিয়াঘাটার ব্রীজের উপর ভারী যানবাহন চলাচল করায় ঝুঁকির সম্মুখীন

উপজেলা প্রতিনিধি, বটিয়াঘাটা

উপজেলা প্রতিনিধি, বটিয়াঘাটা

১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

খুলনার বটিয়াঘাটার  ব্রীজের উপর ভারী যানবাহন চলাচল করায় ঝুঁকির সম্মুখীন

খুলনা-চালনা মহাসড়কের বটিয়াঘাটার শৈলমারী ব্রীজটির উপর দিয়ে মাত্রারিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল করায় ব্রীজটি চরম ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। যে মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন এলাকার সচেতন অভিজ্ঞ মহল।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতা পরবর্তী দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলীয় অনুন্নত এ জনপদে মানুষের প্রাণের দাবি ছিল বটিয়াঘাটার শৈলমারী নদীর উপর একটি ব্রীজ। ব্রীজটি নির্মিত হওয়ার পর খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা মিলে ৫ টি উপজেলার সাধারণ মানুষ অতি স্বল্প সময়ে কম খরচে যানবাহন চলাচল ও মালামাল পরিবহণে অনেকাংশে সাশ্রয় ঘটতে শুরু করে। যা এতদ অঞ্চলের জন মানুষের মনে প্রাণের সঞ্চার ঘটে।

১৯৯৭ সালে ব্রীজটির ৯ কোটি ৯৭ টাকা প্রাক্কলিত ব্যায় ধার্য্য করে প্রাথমিক নির্মাণ কাজ শুরু করলে শেষ পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় এসে দাঁড়ায় ২৫ কোটি টাকায়। ব্রীজটি নির্মাণের শুরু থেকেই নানান অনিয়মের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে স্থাণীয়দের মনে সংশয় দেখা দেয়। ব্রীজটির মাঝের পার্টের পিলার ৯ ইঞ্চি নিঁচু হয়ে ডেবে যাওয়ায় তাঁদের মনে এ সংশয়। পরবর্তীতে কোন মতে জোঁড়াতালি দিয়ে মাঝের পিলারের উপরে ছাঁদের ঢাঁলাই দিয়ে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার কাজ সেরে চলে যাওয়ায় যার। ফলশ্রুতিতে ৫ টনের ক্ষমতা সম্পন্ন ব্রীজটি নির্মাণের শুরুতে থেকে যায় হুমকির সম্মুখীন।

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির ১৬ থেকে ২০ চাকা বিশিষ্ট ৪০ থেকে ৫০ টনের লোডবাহী গাড়ী বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করায় ব্রীজটি বর্তমানে চরম হুমকিতে পড়েছে। এমনকি ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ভারী যানবাহন ব্রীজটির উপরে উঠলেই দুলতে থাকে। অবস্থা এমনি পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে মাত্রারিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল করলেই যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা। অন্যদিকে খুলনা-চালনা মহাসড়কের রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে পিচের বিটমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে । এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ব্রীজটি দিয়ে মাত্রারিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল করায় ঝুঁকি বাড়ছে। আমরা উর্দ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি। ঝুঁকি এড়াতে পাশে বিকল্প ব্রীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করা হয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি জানতাম না, সম্প্রতি জেনেছি। মাসিক সমন্বয় কমিটিতে উত্থাপন করে স্হানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করা হবে।

পত্রিকা একাত্তর/আক্তারুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news