জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ২নং পোগলদিঘা ইউনিয়নের বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে (EIIN-110168) ৩ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে ধুম্রজাল ও লুকোচুরির খেলা চলছে । গতকাল সোমবার ১৩-০২-২২ইং তারিখ উক্ত বিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সঞ্চয় হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা-২০২১ খ্রীষ্টাব্দ অনুযায়ী সরকারী বিধি মোতাবেক নবসৃষ্ট শুন্যপদে ১জন নিরাপত্তাকর্মী, ১জন আয়া ও ১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুরুষ/মহিলা নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মোটা অংকের টাকা অবৈধভাবে উপার্জনের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে শিক্ষক ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগীগণ। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আজাহার আলী শিক্ষক প্রতিনিধি ওমর আলী,নজরল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকগণও অবগত নন বলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে কে কিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং কিভাবে কার কাছে প্রার্থীরা আবেদন করবে তা জানতে পত্রিকার তথ্য ও অফিসে গেলেও কোন তথ্য পাচ্ছেন না স্থানীয় আগ্রহী প্রার্থীরা। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একে অপরের উপর দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের বিষয়ে কথা হলে প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন জানান,এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। এ বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনামুল হক (ফারুক) জানেন। তিনি আরও বলেন সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে আমার মামলা আছে।
এ ব্যাপারে বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনামুল হক (ফারুক) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন কে দোষারোপ করে বলেন, আমি তো ১৫ দিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের সাথে কোন দেখাই করিনি। কিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞিপ্তি দিয়েছেন তিনিই জানেন।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান,বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কিনা সেটা আমি জানিনা।এ বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখছি।
উল্লেখ্য, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এনামুল হক (ফারুক) কে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ৯ জন সদস্য তাকে অনাস্থাপত্র প্রদান করে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনপত্র প্রেরণ করা হয়েছে বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে । এ দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে ম্যানেজিং কমিটির বিরোধ থাকায় ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি ছাড়াই ২ মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন। এ ছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক শিক্ষক হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন কে অনুপস্থিত লিপিবদ্ধ করেন। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার,ময়মনসিংহ বিভাগীয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মহাপরিচালক ঢাকা এর হস্তক্ষেপ এলাকাবাসীর একান্ত কাম্য।
পত্রিকা একাত্তর/মোঃ সিহাব উদ্দিন