লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় হাতীবান্ধা হাটে চুরির মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় দুই নৈশপ্রহরীর সম্মানহানির কারনে আনারুল হক (৩৫) নামে এক দোকানদারের বিরুদ্ধে থানায়অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়নাল মিয়া (৫৫) নামে ওই নৈশপ্রহরী স্থানীয় থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানবাড়ী এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত আনারুল মিয়া ওই ইউনিয়নের পূর্ব সিন্দুর্না এলাকার বাসিন্দা। এর আগে উপজেলার সিন্দুর্না বাজারে (হাতীবান্ধা হাট) এ থাকা আনারুলের মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জয়নাল মিয়া ও জগদীশ চন্দ্র ওই উপজেলার সিন্দুর্না হাটের নৈশপ্রহরীর দায়ীত্বে রয়েছেন। এমতাবস্থায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর রাতে ওই বাজারে আনারুল মিয়ার মুদি/গোলামালের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়নাল মিয়া ও জগদীশ চন্দ্রের নামে চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে চোর বলে গালিগালাজ করে দোকানের মালিক আনারুল।
এদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি ওই দোকান থেকে চুরি হয়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন সুজন মিয়া নামে এক যুবকের নিকট থেকে উদ্ধার করা হলে গোপনে টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করেন সিন্দুর্না ইউনিয়নের নবাগত চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিনের ছোট ভাই আবু সায়েম। সুজন মিয়া একই ইউনিয়নের সিন্দুর্না এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে। এ ছাড়াও ওই দুই নৈশ প্রহরীকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদেরকে দায়ীত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বিভিন্ন ভাবে পায়তারা চালাচ্ছেন আনারুলসহ কয়েক,জন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জয়নাল বলেন, আমি গরীব মানুষ। নৈশপ্রহরীর কাজ করে আমার পরিবার চলে। আমাদের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা অভিযোগ করার হয়েছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।
অভিযুক্ত আনারুল মিয়া বলেন, প্রথমে চোর সন্দেহে নৈশপ্রহরী জয়নালের সঙ্গে আমার ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা সেটা স্থানীয় ভাবে সমাধান করেছি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ লুৎফর রহমান