ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সংলগ্ন একটি কফিশপ থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ সময় থানায় আটক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী জানান, গত বছরের জুন মাসে তাকে হলের এক কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর এবং ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকির শিকার করা হয়েছিল।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম খাইরুল ইসলাম সৌরভ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আটক ছাত্রলীগ নেতার নাম সায়মুম খান, তিনি ইবি শাখা ছাত্রলীগের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
খাইরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ জুন তার সহপাঠী সিফাত সিদ্দিকীর মাধ্যমে শেখ রাসেল হলের (বর্তমান শহীদ আনাস হল) ৪০৩ নম্বর কক্ষে তাকে ডেকে নিয়ে যান সায়মুম। কক্ষে গিয়ে তিনি সায়মুমের সঙ্গে কথা বলার অজুহাতে ছাদে নিয়ে যান। সেখানে সায়মুম তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বেপরোয়াভাবে মারধর করেন। পালানোর সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়, এতে তার হাতে আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
এই ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, তবে ওই সময় কোনো বিচার পাননি বলে জানান তিনি।
জানা যায়, সন্ধ্যার পর সায়মুম খান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি কফিশপে বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা তার অবস্থান জানতে পেরে সেখানে গিয়ে তাকে আটক করেন এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা মিজানের সহায়তায় ইবি থানায় সোপর্দ করেন।
খাইরুল বলেন, "গত বছর আমাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছিল এবং ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমি ওই সময় প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি, তাই এবার থানায় অভিযোগ দিয়েছি।"
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, "শিক্ষার্থীরা ওই ছেলেকে আমাদের হাতে সোপর্দ করেছে। আমরা জানতে পেরেছি, সে (সায়মুম খান) নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত দেখিয়ে তাকে কোর্টে চালান করা হবে।"
আরও পড়ুন
