সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর দাবিতে প্রচার, যা জানা গেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৪ মে, ২০২৫, ১ week আগে

সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর দাবিতে প্রচার, যা জানা গেছে

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও উপপরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসি কার্যকর হবে—এমন খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও তা মিথ্যা বলে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ নিশ্চিত করেছে।

মামলা এখনও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং চূড়ান্ত রায় দেয়নি আদালত। ফলে রায় হওয়ার আগেই ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সুযোগ নেই।

জানা যায়, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসার পর তা কার্যকর করার জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা নামে পরিচিত। পাশাপাশি আসামিরা জেল আপিল, নিয়মিত আপিল ও অন্যান্য আবেদন করার সুযোগ পান। সাধারণত এই সব শুনানি একসঙ্গে হয়ে থাকে।

মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে পৌঁছে এবং ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। একই বছর আসামিরা পৃথক জেল আপিল ও অন্যান্য আপিলও করেন। এরপর ২০২৫ সালের ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়, যা এখনও চলছে।

রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার জানান, ২৩ মে থেকে শুনানি শুরু হয়ে মোট ১৪ দিন চলছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সাত দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর হবে এমন খবর সঠিক নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘রায় ঘোষণার প্রশ্নই আসেনি, এখনো শুধু মামলার শুনানি চলছে।’

তাছাড়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামির পরিবারকে তলব করে শেষবার সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়।

ফেসবুকে ছড়ানো সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে ফ্যাক্টওয়াচ উল্লেখ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহত হন। এরপর ৫ আগস্ট সিনহার বোন টেকনাফ থানায় মামলা করেন, যার পরবর্তী সময়ে প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১৫ জনের রায় ঘোষণা করেন। প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকি সাতজনকে খালাস দেয়া হয়।

— পত্রিকা একাত্তর

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news