জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি হিসেবে স্বীকৃত ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মুন হৃদয়। ছোট থেকেই প্রকৃতি, বন্য পশু-পাখির ছবি তুলতে ভালোবাসতেন। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিকে বেছে নিয়েছেন।

মির্জা মোঃ মুন রিদয় বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার স্বপ্ন একজন বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার হিসেবে ন্যাটজিওর সাথে কাজ করবেন। প্রথমে তিনি একটি মোবাইল ফোন দিয়ে তার ফটোগ্রাফি শুরু করেছিলেন। ল্যান্ডস্কেপের ছবির পাশাপাশি পশু-পাখির ছবি শুট করতেন। ছোট বেলা থেকেই তার পশু-পাখির প্রতি আলাদা রকমের আবেগ ও ভালোবাসা কাজ করতো।

ইতিমধ্যে তার ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির বেশ কিছু ছবি স্থান পেয়েছে দেশ ও দেশের বাহিরের বিভিন্ন মিডিয়া ও জার্নালের অফিসিয়াল পেইজে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় যুব ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা থেকে মেধা তালিকায় উর্ত্তীর্ন হয়েছেন।

২০২০ সালে ‘৩৫ জাতীয় পুরস্কার’ প্রতিযোগিতায় তার ছবি ১০০ টি মোবাইল বিভাগে মনোনীত হয়েছে এবং আরও অনেক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে তার ছবি। সম্প্রতি ‘ইউনেস্কো সিল্ক রোড’ প্রতিযযোগিতায় একটি ছবি সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছে যেই প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিলো ইউনেস্কো। এছাড়াও ২০২১ সালে জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন।

মজার বিষয় হচ্ছে ৫-৬ টি প্রতিযোগিতায় জিতেছে আমার ১টি মাত্র ছবি যেই ছবির নাম দিয়েছি ‘এঞ্জেল ফল’। ২০২১ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ফেইজবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম অফিসিয়াল পেজে প্রকাশ করেছিল যে ছবির নাম ‘কিস অফ ডেথ’ । সম্প্রতি এসসিজি এর ফটোগ্রফি ক্লাবে ডিএসএলআর ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরুষ্কার পেয়েছেন। ক্যানন ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল পেজে ফিচার পেয়েছেন।

এছাড়াও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং ক্যানন ইন্ডিয়ার ফিচারের মধ্যে রয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে একটি প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার জন্য রাশিয়া পাড়ি দিয়েছেন। ২০২১ সালে ন্যাটজিওর তার কাজ পছন্দ করেছিল এবং তারা সর্বদা তার কাজকে সমর্থন জানিয়েছেন।

সম্প্রতি তিনি আর্ট গ্রুপের এসসিজি ও কলোনীতে ডিএসএলআর ক্যাটাগরিতে ফ্রিস্ট প্রাইজ পেয়েছেন। সবুজ পর্দার প্রতিভা স্কাউট থেকে একটি মেইল ​​পেয়েছেন তারা তাকে প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করার জন্য।

পত্রিকাএকাত্তর /অশ্রু মল্লিক