বাংলাদেশ দূতাবাস, সিঙ্গাপুরে সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী যথাযোগ্য মর্যাদায় “মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”-২০২২ উদ্যাপিত হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সিমিত সংখ্যক সদস্যদের উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
পরবর্তীতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে দূতাবাসের অভ্যন্তরে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। সিঙ্গাপুরে সরকারের বিধিনিষেধ মান্যকরে সমিতি পরিসরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান,
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। “মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”-২০২২ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করেন সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বক্তব্যের শুরুতে সাথে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকলকে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের শেষে সিঙ্গাপুরে বসবাসরত প্রবাসীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিতা আবৃত্তি, অনুষ্ঠান শেষে আগত সকল অতিথিদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনের এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সবচে বেশি ভূমিকা পালন করেছে জাতী হিসেবে আমরাই এক মাত্র ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছি।হাইকমিশনার দেশের কল্যাণে সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশপ্রেম নিয়ে কাজ আহবান জানান এবং সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশী প্রবাসীদের সিঙ্গাপুর সরকারের আইন-কানুন এবং করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
পত্রিকা একাত্তর/ শাহাদাত রাসেল চৌধুরী