ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর। মিশা ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি) আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত চেতনা ও অমরসঙ্গী চলচ্চিত্র দুটিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন তিনি।
সম্প্রতি চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের একটি ভিডিও ভ্লগে মিশা সওদাগরের কাছে সায়মনের প্রশ্ন ছিল, অভিনয় জগতে আসার পর কোন অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি? জবাবে মিশা জানান, স্ত্রী মিতা ছাড়া তিনি কারও প্রেমে পড়েননি। অল্প বয়সে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তাই অন্য কারও প্রেমে পড়ার সুযোগ হয়নি।
এর পরই মিশা বলেন, যদি প্রেমে পড়ার সুযোগ হতো, তাহলে মৌসুমীর প্রেমে পড়তাম। ওর ব্যক্তিত্ব আর যোগ্যতা আমার ভাল লাগতো। অবচেতন মনেই ওকে (মৌসুমী) আমার ভাল লাগতো। ওকে পছন্দ করতাম। তবে ওর প্রেমে পড়েছি, এটা বলা যাবে না।
মিশা সওদাগর ১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি পুরান ঢাকার সাতরোজায় আবুল হাসান রোডে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শাহীদ হাসান হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ওসমান গনি ও মায়ের নাম বিলকিস রাশিদা।
তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মিশা চতুর্থতম। তার দাদার নাম জুম্মন সওদাগর। মিশার স্ত্রীর নাম মিতা, এই দম্পতির দুই ছেলে সন্তান রয়েছে, বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ ও ছোট ছেলে ওয়াইজ করণী। স্ত্রীর মিতা নামের ‘মি’ এবং নিজের নামের ‘শা’ একসঙ্গে করে নিজের নাম রাখেন মিশা। দাদার নামের থেকে সওদাগর উপাধি নিয়ে নিজের পুরো নামকরণ করেন মিশা সওদাগর।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ