জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপির জন্মদিন আজ। ১৯৭৯ সালের আজকের এই দিনে খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন পপি। তার শৈশব কাটে খুলনায় দাদাবাড়িতে। জন্মদিন উপলক্ষে পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছে ও অভিনন্দন।
সিনেমাপ্রেমীদের স্বপ্নের নায়িকা, ঢালিউডের অনিন্দ্য সুন্দরী সাদিকা পারভিন পপি। আজ (১০ সেপ্টেম্বর) এক এক করে ৪৩ বছর পার করে ৪৪-এ পা দিলেন কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চিত্রনায়িকা।
পপি স্কুলে পড়াকালীন সময়েই ১৯৯৫ সালে লাক্স আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন। ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন পপি। তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’। প্রথম ছবি দিয়েই সাফল্য পান এই লাস্যময়ী।
এরপর ১৯৯৮ সালে রিয়াজের বিপরীতে ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে ‘কে আমার বাবা’ ও ‘লাল বাদশা’, ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত ‘ক্ষ্যাপা বাসু’ ছবিগুলো তাকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়। একে এক প্রায় দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
পপি অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো ‘উজ্জ্বল কারাগার’, ‘রানি কুঠির বাকি ইতিহাস’, ‘বিদ্রোহী পদ্মা’, ‘কী জাদু করিলা’, ‘বস্তির রানি সুরাইয়া’, ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতি’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ইত্যাদি। সর্বশেষ সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন পপি।
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন পপি। পাঁচবার বাচসাসের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকের মনে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ছোটপর্দাতেও নিয়মিত অভিনয় করছেন পপি।
পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। গত ৫ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে তার, মা-ছেলে দুজনই সুস্থ আছেন। বর্তমানে মিডিয়ার বাহিরে আছে পরিবার নিয়ে ব্যস্তসময় পার করছেন।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ