অঞ্জনা রহমান একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক।চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন।
অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত সেতু চলচ্চিত্র দিয়ে।তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত দস্যু বনহুর। দীর্ঘদিন থেকেই পর্দার আড়ালে তিনি।
সিনেমায় কাজ না করলেও তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অঞ্জনা।
অঞ্জনা সিনেমা প্রযোজনার পর এবার নাম লেখাতে যাচ্ছেন পরিচালনায়। বর্তমানে চলছে গল্প লেখার কাজ। শিগগিরই সবকিছু চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে জানান অভিনেত্রী।
অঞ্জনা বলেন, সবাই আমাকে অনুরোধ করছে চলচ্চিত্র পরিচালনায় আসার জন্য। সবকিছু বিবেচনা করে আমিও ভাবছি আমার অঞ্জনা ফিল্মস থেকে সিনেমা পরিচালনা করার কথা। বর্তমানে গল্প রেডি হচ্ছে। গল্প রেডি হলেই অনুদানের জন্য জমা দেব।
অনেকেই অনুদান পেয়েছে। আমারও পাওয়া উচিত। আশাবাদী আমিও পাবে। সামাজিক-পারিবারিক গল্পে প্রথম পরিচালনার সিনেমাটি নির্মিত হবে। এখনই কিছু চূড়ান্ত নয়। সবকিছু রেডি হলে সিনেমার নাম ও শিল্পী নির্বাচন করা হবে।
যেহেতু আমি প্রথমবার পরিচালনায় আসতে চলেছি তাই পরিচালনায় গাইড হিসেবে আমারই একজন অভিভাবক থাকবেন। অনুদান না পেলে নিজ অর্থায়নে সিনেমাটি নির্মাণ করব। এবারই প্রথম নয়, আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে এর আগেও সিনেমা প্রযোজনা করেছি।
তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও (ভারত) (পাকিস্তান) (তুরস্ক) (নেপাল) (থাইল্যান্ড) ও (শ্রীলংকান)বহু ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক ভাবেও তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন।
অভিনয়ের জন্য তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।
এশিয়া মহাদেশীয় নৃত্য প্রতিযোগিতা - প্রথম স্থান - (একবার) জাতীয় নৃত্য প্রতিযোগিতা - প্রথম স্থান - (তিনবার) এছাড়া তিনি রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য পুরস্কার সহ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা