আশনা হাবিব ভাবনা একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে ছোটপর্দার এই নিয়মিত মুখ। বাংলাদেশি নির্মাতা অনিমেষ আইচের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ভয়ংকর সুন্দর চলচ্চিত্রে ভারতীয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভাবনা।
অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী এবার ইংল্যান্ডের রেক্সহ্যাম গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন ভাবনা। ইংল্যান্ডের ওয়েলসে অবস্থিত গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটি থেকে ‘বিজনেস’ বিষয়ে এই ডিগ্রি দ্বিতীয় বিভাগ অর্জন করেন তিনি।
বুধবার (১১ মে) সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় সেই গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট। সশরীরে লন্ডনে উপস্থিত থেকে মাথায় হ্যাট আর গায়ে গাউন পরে নিজের কাঙিক্ষত সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন ভাবনা। সেই ছবি প্রকাশ করেন নিজের ফেসবুকে।
এরপর থেকেই বন্ধু-শুভাকাঙক্ষী আর ভক্তদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন অভিনেত্রী। এই সার্টিফিকেট অর্জন করতে যে ভাবনাকে অনেক পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তা জানা যায় পোস্টে ভাবনার লেখা থেকে।
ভাবনা তার ফেসবুকে লিখেন তা তুলে ধরা হলোঃ কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুন নিজে নিজেকে বিশ্বাস করা সবচাইতে জরুরি। কেউ পাশে থাকুক না থাকুক নিজের পাশে নিজের থাকাটা জরুরী। খুবই জরুরী। আমার জীবনে আমি অনেক বার আমার মা - বাবা কে খুশী করতে পেরেছি তবুও যেন পরিবারের অন্যরা সব সময় আমার মা - বাবা কে আমার পড়াশুনা নিয়ে একটু খোঁচা কথা বলতে ছাড়তো না, কারন মেয়ে নাচ করে, অভিনয় করে, পড়াশুনা তো আমাকে দিয়ে হবেই না।
আমার মা - বাবা আমাকে জীবনে কোনদিন ক্লাসে ফ্রাস্ট হওয়ার জন্যে বলে নি। আমার সব কিছুতেই আমার মা বাবা আমার পাশে ছিল সবসময়। যতবার আমি হেরে যাই আম্মু আব্বু আমাকে সাহস দেয়। আমার লেখাপড়ার জার্নিটা একদম সোজা ছিল না, অনেক কাজ মিস হয়েছে, অনেক কঠিন হয়েছে স্পেশিয়ালি এই করোনার সময়, তবু ও আমি লেগে ছিলাম শুটিং এর সময় ও অনলাইনের ক্লাস মিস করিনি।
আমার মা - বাবা, আমার বোন যাদের কারনেই আমার মনে হয়েছে পড়তে হবে। আমার বোন না থাকলে যে আমার যে কি হত আমি ভাবি মাঝে মাঝে। এবং আমার London School of Commerce, Dhaka র সকল শিক্ষকেরা, যাদের জন্যে আমার লেখাপড়ার পথ সোজা হয়েছে।
তবে আমি তাদের কে বেশি করে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা আমাকে জাজ করে, যারা আমাকে ছোট করে কথা বলতে ভুলে না, যারা আমাকে টেনে ফেলে দিতে চায় ,যাদের আমাকে দেখলে অনেক হাসি পায়, আমি সত্যি আপনাদের বেশি ভালোবাসি, আপনাদের কারনেই আমি চলতে থাকি নিজেক মত করে, আমি শুধু এতটুকু বলব আমার লেখাপড়া কেবল শুরু। আর ও অনেক কাজ করতে চাই। একটি দিন ও আমি বসে থাকতে চাই না। আপনারা আমাকে আশির্বাদ করবেন।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা