বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণ গত ১৫ বছর ধরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং আজও সেই বঞ্চনা থেকে মুক্তি পায়নি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার মতোই নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে এবং তার আমলের সাথে বর্তমান সরকারের কিছু বৈশিষ্ট্য মিল রয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত রাকিবুল হাসানকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ১৮ জুলাই ঢাকার ইসিবি চত্বরে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে আহত হয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী ও ইলেক্ট্রিশিয়ান রাকিবুল হাসান।

রিজভী বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আওয়ামী লীগের মতো ঢালাও গ্রেপ্তার ও মামলা করলে মানুষের মন বিগড়ে যাবে। দুর্বৃত্তরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি এবং তাদের বিচার হয়নি, যাদের নাম সবাই জানে, যারা প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকাণ্ড করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার কেন তাদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে?’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বাজেট কম দেওয়া হবে কেন? ২০-২৫ হাজার ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে আমরা মুক্তি পেয়েছি। যদি স্বাস্থ্যখাত ঠিক থাকতো, তবে তারা কেন দেশের বাইরে যেতো? এখনও জুলাই-আগস্টের আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, তাদের আর্তনাদ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পৌঁছায় না।’

রিজভী দাবি করেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াইয়ে যারা ভূমিকা রাখেননি, বরং গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষদের নিয়ে টিটকারী হয়েছেন, তাদের অনেককে উপদেষ্টা করা হয়েছে। সবাই না হলেও কয়েকজনের কথা বলছি।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘আদালতের রায় ঘোষণার পরও ইশরাককে শপথ নিতে দেওয়া হয়নি, গায়ের জোর খাটাচ্ছে সরকার। চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত মেয়র হতে পেরেছেন, তাহলে ইশরাক কেন নয়? সরকার জোর করে তাকে মেয়র হতে দিচ্ছে না।’

এই সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, মোঃ আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, ফরহাদ আলী সজীব ও শাহাদত হোসেন।

ঢাকা জেলা প্রতিনিধি/পত্রিকা একাত্তর