চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার স্বাস্থ্য বিভাগকে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত বিভাগে পরিণত করেছে।আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই লুটপাট করেছে।

হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। করোনার টিকা নিয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতিটি প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে সবচাইতে বেশি এই দুর্নীতি হয়েছে।

চিকিৎসকদের বদলী নিয়ে ব্যাপক বাণিজ্য করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো করোনা সামগ্রী ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় এ যে হিসাব দেখানো হয়েছিল তা অস্বাভাবিক ও অকল্পনীয়।

এই দুর্নীতিবাজ সরকার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইউএসটিসি সহ সমস্ত মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের ঐক্ষবদ্ধ হতে হবে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আজ ২১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, ইউএসটিসি জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জনগণের ভোটের মাধ্যমে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই সরকার মিথ্যা সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে।

বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। আর এই সরকার জনগণের ভোট ডাকাতি করে একদলীয়ভাবে ক্ষমতায় এসেছে । এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তাদের ভোটের প্রয়োজন নেই। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, এই দেশের জনগণ আর কোনো দিন ভোট দিতে পারবেন না।

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যখন নির্বাচন হবে, সেদিনই এই দেশের জনগণ ভোট দিতে পারবে। সেই দিন বিএনপি সরকার গঠন করবে।

ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুন ও ডা.রিফাত কামালের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহুবুব আহমেদ শামীম,

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাব নেতা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.এম এস রায়হান উদ্দিন, ডা. ফয়জুর রহমান, ডা.মাহাতাব উদ্দিন, ডা. মীর ওয়াজেদ আলী, ডা.রাসেল ফরিদ, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডা. সারোয়ার আলম, ডা. ইসা চৌধুরী, ডা. আদনান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন