মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার মন্তব্য
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকা ও বিভিন্ন জটিলতা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে গায়ের জোরে আদায় করতে নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি যে আন্দোলন করছে, সেটি অবৈধ।
সোমবার বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন। চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তিনি নিম্নরূপ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন:
১. আর্জি সংশোধন অবৈধ ভাবে হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইবুনাল রায় প্রদান করেছে।
২. নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে, পরবর্তীতে আপিলও করেনি।
৩. আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও তা প্রদানের আগেই এবং দুইজন নাগরিকের লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
৪. মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত নয় এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা নেই।
৫. শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করেছে, যা এখনও বিচারাধীন।
৬. বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মামলায় ট্রাইবুনাল হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে আর্জি খারিজ করেছে, ফলে দ্বিমুখী অবস্থান দেখা দিয়েছে।
৭. মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে, মেয়র কতদিন থাকবেন বা মেয়াদ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
৮. নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘কোন প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ’ উল্লেখ থাকলেও স্পষ্ট বিতর্কিত রায়, লিগ্যাল নোটিশ ও রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকার কারণে জটিলতা রয়েছে।
৯. এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
১০. আওয়ামী লীগের অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে তাহলে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকা এবং উল্লিখিত জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া না মানা ও গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যে মহানগর বিএনপি নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন চালাচ্ছে, যা সিটি কর্পোরেশনের কাজ ব্যাহত করেছে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, এসব জটিলতা সমাধান হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ শপথ প্রদানে কোনো বাধা দেখবে না। তবে তার ব্যক্তিগত অভিমত, ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে যে আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কর্মকাণ্ড চলছে, তার কোনো যৌক্তিক কারণ তিনি খুঁজে পাননি। এছাড়া এই আন্দোলন সাধারণ জনগণ করে না, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীরাই এটি বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন
