দেশীয় অস্ত্র বহনের দায়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুরকে (৩০) অস্ত্র মামলায় চালান করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে রহিমানপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী এলাকা মহুভাসির একটি টিভিএস গাড়ি ও ২০টি রামদাসহ আহত অবস্থায় সবুরকে আটক করে পুলিশ। আটক সবুর ইসলাম নগর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রের বস্তাসহ দেখতে পেয়ে সবুরকে আটক করে এলাকাবাসী। সাথে সাথে মানুষের ভিড় বেড়ে গেলে তাকে মারধর শুরু করে সবাই। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে। রামদাগুলো নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবহার হতো বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।
তবে হাসপাতালের বেডে শুয়েই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সবুর। তিনি বলেন, আলামিন নামের একজন নৌকার প্রার্থীকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে আমাকে ফাঁসিয়েছে।
সবুরের ছাত্রনেতা হবার বিষয়টি নিশ্চত করে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। তার বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এলাকাবাসীর কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অস্ত্র মামলায় তাকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন আকাশ: রাণীশংকৈল প্রতিনিধি।