৫৬ বছরে পা রাখলেন অক্ষয় কুমার

বিনোদন ডেস্ক

বিনোদন ডেস্ক

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১ year আগে

৫৬ বছরে পা রাখলেন অক্ষয় কুমার

অক্ষয় কুমার একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তার প্রকৃত নাম রাজিব হরি ওম ভাটিয়া। ২৯ বছরের অধিক অভিনয় জীবনে তিনি এক শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

আজ এই অভিনেতা ৫৬ তম জন্মদিন ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহন করেন। অক্ষয় কুমারের জন্ম পাঞ্জাবের অমৃতসরে৷ বাবা সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। তার মায়ের নাম আরুনা ভাটিয়া। কুমার নাচিয়ে হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। মুম্বাইয়ে স্থানান্তর হওয়ার পূর্বে তিনি দিল্লির চাঁদনি চকে থাকতেন। মুম্বাইয়ে তিনি কলিওারাতে থাকতেন, সেখানকার অধিকাংশ মানুষ ছিলো পাঞ্জাবী। তিনি মুম্বাইয়ের ডন বসকো স্কুল এ পড়েন এবং পরে তিনি মুম্বাইয়ের গুরু নানক খালসা কলেজএ পড়াশোনা করেন। কুমারের বোনের নাম আল্কা ভাটিইয়া।

তায়কোয়ান্দোতে ব্লাক বেল্ট পাওয়ার পর তিনি আরো মার্শাল আর্ট শিখার জন্য ব্যাংকক এ যান। পরে থাইল্যান্ড এ তিনি মুই থাই শিখার পর প্রধান ওয়েটারের কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ এর রাজধানী ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতেও কিছুদিন শেফ (রাঁধুনী) হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ভারতএর পশ্চিববঙ্গের কলকাতায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতেও কাজ করেছেন। যখন তিনি মুম্বাই ফেরেন, তখন তিনি মার্শাল আর্ট শেখানো শুরু করেন। তার এক ছাত্র, ফটোগ্রাফার, কুমারকে মডেলিং করার জন্য পরামর্শ দেয়, যা তার চলচ্চিত্রে অভিষেকের প্রথম সোপানটি তৈরি করে দেয়।

কুমারের প্রধান চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে প্রথম কাজ ছিল রাখী গুলজার ও শান্তিপ্রিয়ার বিপরীতে সৌগন্ধ (১৯৯১)। একই বছর তিনি কিশোর ব্যস পরিচালিত ড্যান্সার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, ছবিটি নেতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে। পরের বছর তিনি আব্বাস-মুস্তান পরিচালিত রোমহর্ষক খিলাড়ি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা তার প্রথম সাফল্য হিসেবে গণ্য হয়।তার পরের কাজ ছিল জেমস বন্ড চরিত্রের উপর ভিত্তি করে রাজ সিপ্পির নির্মিত গোয়েন্দা চলচ্চিত্র মিস্টার বন্ড। ১৯৯২ সালে তার অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ছিল দিদার। ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।১৯৯৩ সালে তিনি কেশু রামসির দুভাষী অশান্ত চলচ্চিত্রে বিষ্ণুবর্ধণ, অশ্বিনী ভবে ও আশুতোষ রানার সাথে অভিনয় করেন। ১৯৯৩ সালে তার বাকি চলচ্চিত্রগুলো ছিল দিল কী বাজী, কায়দা কানুন, ওয়াক্ত হামারা হ্যায়, ও সৈনিক, সবকয়টি চলচ্চিত্র বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি সমীর মালকান পরিচালিত ম্যাঁয় খিলাড়ি তু আনাড়ি ও রাজিব রাই পরিচালিত মোহরা চলচ্চিত্রে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেন। মোহরা সে বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের একটি।এই বছরে তিনি যশ চোপড়া প্রযোজিত ইয়ে দিল্লাগী চলচ্চিত্রে কাজলের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও স্টার স্ক্রিন পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। একই বছর তিনি ব্যবসা সফল সুহাগ ও স্বল্প নির্মাণ ব্যয়ের এলান ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ১১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

পত্রিকা একাত্তর / মাসুূদ পারভেজ

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news