সুনিধি চৌহান একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্র এবং পাঞ্জাবি গানের জন্য প্রসিদ্ধ। এছাড়াও তিনি ভারতীয় অন্যান্য বিভিন্ন ভাষায় গান রেকর্ড করেছেন; যেমন: কন্নড়, তামিল, তেলুগু, মারাঠি, মালায়ালম, ওড়িয়া, বাংলা, অসমীয়া, নেপালি, উর্দু এবং ইংরেজি গানের মাধ্যমে ৩০০০ এর উপরে স্টুুডিও গান রেকর্ড করে তিনি ভারতের সর্বাধিক রেকর্ডে কণ্ঠ দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
নিধি চৌহান ১৪ আগস্ট ১৯৮৩ সালে নয়া দিল্লি, ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ৩৯ তম জন্মদিন পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী সুনিধি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে স্থানীয় অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন এবং ১৩ বছর বয়সে শস্ত্র (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে গানের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। একই সময়ে তিনি মেরি আওয়াজ সুনো গানের অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং মস্ত (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের "রুকি রুকি সি জিন্দগি" গান দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। এই গানের জন্য তিনি নতুন সঙ্গীত প্রতিভা বিভাগে ফিল্মফেয়ার আর. ডি. বর্মণ পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
তার দ্বিতীয় আলোচিত সাফল্য আসে ২০০০ সালের ফিজা চলচ্চিত্রের "মেহবুব মেরে" গান দিয়ে, যার জন্য তিনি আরেকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। চৌহান ধুম (২০০৪) চলচ্চিত্রের "দুম মচালে" গানের জন্য তার তৃতীয় ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং পরের বছরের পরিণীতা চলচ্চিত্রের "ক্যায়সি পহেলি" ও দস চলচ্চিত্রের "দিদার দে" গানের জন্য আরও দুটি মনোনয়ন লাভ করেন।
২০০৬ সালে ওমকারা চলচ্চিত্রের "বিড়ি" গানের জন্য তিনি তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং অক্সর চলচ্চিত্রের "সোনিয়ে" ও থার্টি সিক্স চায়না টাউন চলচ্চিত্রের "আশিকি মেঁ" গানের জন্য আরও দুটি মনোনয়ন লাভ করেন।
পরের বছর চৌহানের আজা নাচলে-এর শিরোনাম গান ও হানিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড-এর "সাজনাজি বারি" গান দুটি সমাদৃত হয় এবং ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়। চৌহান রব নে বনা দি জোড়ি (২০০৮) চলচ্চিত্রের "ডান্স পে চান্স" এবং লাভ আজ কাল (২০০৯) চলচ্চিত্রের "চোর বাজারি" গানের জন্য যথাক্রমে তার ১১তম ও ১২তম ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন লাভ করেন।
২০১০ সালে তিনি তিস মার খাঁ চলচ্চিত্রের আইটেম গান "শিলা কি জওয়ানি"-এর জন্য তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং গুজারিশ চলচ্চিত্রের "উড়ি" গানের জন্য আরেকটি মনোনয়ন লাভ করেন। এই বছরে এনরিকে ইগলেসিয়াসের সাথে "হার্টবিট" গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে তার আন্তর্জাতিক সঙ্গীতাঙ্গনে অভিষেক ঘটে।
নেপথ্য সঙ্গীতের বাইরে চৌহানকে কয়েকটি টেলিভিশন আপাতবাস্তব অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে এবং মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে। সঙ্গীতজীবনের বাইরে তিনি বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক বিষয়াদিতে জড়িত রয়েছেন। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চারবার ফোর্বসের ভারতের ১০০ তারকা তালিকায় তার নাম এসেছে।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ