সাবরিনা এহসান পড়শী একজন বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী। ২০০৮ সালে চ্যানেল আইয়ের "ক্ষুদে গানরাজ"-এ ২য় রানার আপ হন তিনি। তিনি পপ ও আধুনিক ধারায় গান করেন। পড়শীর প্রথম রেকর্ডিং ছিল ২০০৯ সালে একটি চলচ্চিত্রের জন্য।

আজ ৩০ জুলাই বাংলা গানের এই মিষ্টি কণ্ঠের জন্মদিন। পড়শীর জন্য দিনটা তাই খুব স্পেশাল। এত এত মানুষের ভালোবাসা! পড়শী ১৯৯৬ সালের ৩০ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌলভী পাড়ায়।

তার বাবা প্রকৌশলী এহসান-উর-রশিদ এবং মা জুলিয়া হাসান গৃহিনী। তার একমাত্র ভাইয়ের নাম সিয়াত এহসান স্বাক্ষর। তিনি অক্সফোর্ড ফাউন্ডেশন স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এবং ক্যাম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন।

শনিবার সারাদিন ধরেই সাবরিনা পড়শীর সোশ্যাল সাইটের দেয়াল জুড়ে চেনা–অচেনা–আধচেনা মানুষের ভীড়। প্রত্যেকেই রেখে যাচ্ছেন ‘শুভেচ্ছা–শুভকামনা’। কেউ কেউ জুড়ে দিচ্ছেন তাঁর সঙ্গে তোলা পুরনো ছবি। সারাদিন ধরে পড়শীর আঙুল মোবাইল স্ক্রিনে। ‘লাভ’, ‘কেয়ার’ রিঅ্যাক্ট দিচ্ছেন প্রতিটি পোস্টের তলায়।

ছোট বেলা থেকে নাচের প্রতি আগ্রহী হয়ে নাচ শেখেন পড়শী। পরবর্তীতে ক্লাসিক্যাল সংগীত শেখা শুরু করেন। ২০০৭ সালে সরকারি ভাবে আয়োজিত কমল কুড়ি নামক সংগীত প্রতিযোগিতায় দেশের গান বিভাগে বিজয়ী হন তিনি। তিনি ৫ সঙ্গীত পরিচালক সঙ্গে অ্যালবাম তৈরির কাজ করেন। অ্যালবামটি ২০১০-এর ঈদ উল ফিতরে মুক্তি পায়।

প্রথম অ্যালবাম পর তিনি ২০১১ থেকে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম "পড়শী ২" মুক্তি পায়। ২০১২ সালে পড়শী "বর্ণমালা" নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন। ২০১৩ সালের ঈদুল ফিতরে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম "পড়শী ৩" মুক্তি পায়। এই অ্যালবামের "জনম জনম", 'হৃদয় আমার', 'লাভ স্টেশন" শীরোনামের গানগুলি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।

আজ এই কণ্ঠশিল্পী পড়শী জন্মদিনে পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

পত্রিকাএকাত্তর / মাসুদ পারভেজ