সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর চলে যাওয়ার ২ বছর

বিনোদন ডেস্ক

বিনোদন ডেস্ক

৬ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর চলে যাওয়ার ২ বছর

এন্ড্রু কিশোর ছিলেন একজন বাংলাদেশী গায়ক। এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন।

মায়ের কাছে পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে রাজশাহী। তার মাতা ছিলেন সংগীত অনুরাগী, তার প্রিয় শিল্পী ছিলেন কিশোর কুমার। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে তার সন্তানের নাম রাখেন ‘কিশোর’। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি সংগীতাঙ্গনেই পা রাখেন।

তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে'জন্য তিনি 'প্লেব্যাক সম্রাট' নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে "জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প", "হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস", "ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে", "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি", "আমার বুকের মধ্যে খানে", "আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন", "ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা", "সবাই তো ভালোবাসা চায়" প্রভৃতি।

কিশোর ছয় বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি রাজশাহী বেতারে নজরুল, রবীন্দ্র, লোকসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান শাখায় তালিকাভুক্ত হন। চলচ্চিত্রে তার প্রথম গান মেইল ট্রেন (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই"।

তিনি বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) চলচ্চিত্রের "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি সারেন্ডার (১৯৮৭), ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কবুল (১৯৯৬), আজ গায়ে হলুদ (২০০০), সাজঘর (২০০৭) ও কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রের গানের জন্য আরও সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৭] এছাড়া তিনি পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন।

কিশোর ২০২০ সালের ৬ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও ক্যান্সার নির্মূল হয়নি প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেওয়ায় ক্যান্সার নিয়েই ৯ মাস পর ২০২০ সালের ১১ জুন দেশে ফেরেন তিনি। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি রাজশাহীতে ছিলেন।

পত্রিকাএকাত্তর / মাসুদ পারভেজ

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news