ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা আলমগীরের অভিনয় জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ হলো আজ। ১৯৭২ সালের এই দিনে ২৪ জুন আলমগীর কুমকুম পরিচালিত 'আমার জন্মভূমি' ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
পরের বছর ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প নিয়ে নির্মিত 'আমার জন্মভূমি' ছবিটি। একই সঙ্গে মুক্তি পায় তাঁর আরেক ছবি 'দস্যুরানী'। এর পর আর পথচলা থেমে থাকেনি এ অভিনেতার। সেই থেকে একনাগাড়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন।
আলমগীরের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে আমার জন্মভূমি দিয়ে। জিঞ্জীর (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে রাজ্জাক ও সোহেল রানার সাথে অভিনয় করে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে নিষ্পাপ চলচ্চিত্র দিয়ে তার পরিচালনায় অভিষেক হয়। মা ও ছেলে (১৯৮৫) ছবিতে দীপক চৌধুরী চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
পরবর্তীতে অপেক্ষা (১৯৮৭), ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), মরণের পরে (১৯৯০), পিতা মাতা সন্তান (১৯৯১), অন্ধ বিশ্বাস (১৯৯২), দেশপ্রেমিক (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে আরও ছয়টি জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নির্মাণ করেন নির্মম।
২০১০-এর দশকে তিনি জীবন মরণের সাথী (২০১০) ও কে আপন কে পর (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য টানা দুবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে তার পরিচালিত তৃতীয় চলচ্চিত্র একটি সিনেমার গল্প মুক্তি পায়।
আলমগীরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন গীতিকার খোশনুর আলমগীর। তাকে বিয়ে করেন ১৯৭৩ সালে। গায়িকা আঁখি আলমগীর তাদের কন্যা। খোশনুরের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলমগীর ১৯৯৯ সালে গায়িকা রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন।
পত্রিকাএকাত্তর / মাসুদ পারভেজ