ফারুক মহফুজ আনাম জেমস হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী গায়ক-গীতিকার, গিটারিস্ট, সুরকার ও অভিনেতা এবং একজন বলিউড নেপথ্য গায়ক। তিনি রক ব্যান্ড "ফিলিংস" বর্তমানে নগর বাউল হিসাবে পরিচিত। চাঁদরাতে জেমসের গান আসছে।
এটা ইতোমধ্যে সকলেই জেনে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর জেমসের গান মানে তপ্ত মরুভূমিতে আকস্মিক নেমে আসা বৃষ্টি। প্রায় এক যুগ পর নতুন একক গান নিয়ে আসছেন নগরবাউলের রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস।
বসুন্ধরা ডিজিটাল থেকে তার নতুন গানটি আসছে এবারের চাঁদ রাতে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বসুন্ধরা ডিজিটালের সঙ্গে জেমসের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন পর নতুন গান নিয়ে আসার কারণ জানিয়েছেন জেমস।
জেমস জানান, নতুন গান প্রকাশের জন্য প্লাটফর্মগুলোর ‘অ্যাপ্রোচ’ বড় ব্যাপার। বসুন্ধরার অ্যাপ্রোচটা ভালো লেগেছে। তারা আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। আর স্বাধীনতা একজন শিল্পীর জন্য বড় সুযোগ বলে আমি মনে করি।
এসব কারণেই দীর্ঘদিন পর নতুন গান নিয়ে আসছি। সামনে আরও নতুন নতুন গান শ্রোতারা পাবেন। সিঙ্গেল হিসেবে প্রথমে প্রকাশিত হবে, পরবর্তীতে হয়তো গানগুলো অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশিত হবে।
জেমস ১৯৯০ এর দশকে ফিলিংসের মুখ্যব্যক্তি হিসাবে মূলধারার খ্যাতিতে উঠে এসেছিলেন, যা "বিগ থ্রি অফ রক" এর মধ্যে অন্যতম, যারা এলআরবি এবং অর্কের পাশাপাশি বাংলাদেশে হার্ড রক সংগীত বিকাশ ও জনপ্রিয় করার জন্য প্রশংসিত। ফিলিংসকে বাংলাদেশের সাইকেডেলিক রক এর প্রবর্তক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাকে প্রায়শই "গুরু" নামে অভিহিত করা হয়।
জেমস ব্যান্ডের পাশাপাশি "অনন্যা" (১৯৮৯), "পালাবে কোথায়?" (১৯৯৫), "দুঃখিনি দুঃখ করোনা" (১৯৯৭), "ঠিক আছে বন্ধু" (১৯৯৯) এর মতো হিট অ্যালবাম দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে তার সোলো ক্যারিয়ারও (একক কর্মজীবন) এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি বলিউডের চারটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকও করেন, এগুলো গ্যাংস্টার (২০০৬), ওহ লামহে (২০০৬), লাইফ ইন এ... মেট্রো (২০০৭), ওয়ার্নিং (২০১৩)।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা