মাসুমা রহমান নাবিলা একজন বাংলাদেশি টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপক, মডেল এবং অভিনেত্রী। ২০০৬-এ বাংলাভিশনের এবং ক্লাসের বাইরে নামক একটি স্কুল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে মিডিয়া জগতে নাবিলার পথ চলা শুরু হয়।
এর পর তিনি এনটিভির লাইভ কুইজ অনুষ্ঠান জানার আছে বলার আছে এবং বাংলাভিশনে প্রচারিত আরজে নিরবের সঙ্গে করেন ‘মিউজিক টুগেদার’ অনুষ্ঠানটি একই সঙ্গে রেডিও টুডে-তেও প্রচার করা হয়’।
তিনি বিপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং আইসিসি বিশ্ব টোয়েন্টি ২০ থেকে ১০০ দিনের কাউন্টডাউনে উপস্থাপনা করেছেন। ২০১১ সালে আরটিভিতে প্রচারিত ‘এক্সট্রা ইনিংস’ পরবর্তীসময়ে ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লাকি লাইন’ ও এশিয়ান টিভির ‘স্টার ডান্স’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে বেশ পরিচিতি পান নাবিলা।
টিভি অনুষ্ঠান ছাড়াও তিনি বিভিন্ন কর্পোরেট শো ও সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। নাবিলা জিটিভিতে একটি নাটক ফাইভ ফিমেল ফ্রেন্ডস এ তার নিজের চরিত্রের উপর অভিনয় করেছেন। এই নাটকে অন্য ৪ অভিনেত্রী হলো শ্রীয়া সর্বজয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, ডিজে সোনিকা এবং মারিয়া নূর। এই নাটক মাবরুর রশিদ বান্নাহ, ইমরাউল রাফাত এবং গৌতম কৌরি দ্বারা পরিচালিত হয়।
নাবিলা আয়নাবাজি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন। হাফ স্টপ ডাউনের প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। এতে চঞ্চল চৌধুরী, লুৎফর রহমান জর্জ, হিরা চৌধুরী, শওকত ওসমান এবং গাওসুল আলম শাওন সহ আরো অন্যান্যরা অভিনয় করেছেন।
প্রথম চলচ্চিত্র আয়নাবাজি (২০১৬)-তে অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দর্শকদের ভোটে তিনি ২১ এপ্রিল, ২০১৭-এ মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানে তারকা জরিপে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নির্বাচিত হন। প্রথম কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই তিনি মেরিল-প্রথম পুরস্কারে জিতে নেন তিনি।
জনপ্রিয় মডেল, উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলার জন্মদিনে পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
এদিকে জন্মদিনে নাবিলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার ভক্ত ও অনুসারীরা। তার ফেসবুকের ওয়ালে দেখা গেছে ভক্ত ও অনুসারীদের শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন বার্তা। কাছের মানুষেরা ফোনে জন্মদিনের উইশ করছেন। নাবিলাও সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
নাবিলা বলেন, এতো এতো ভালোবাসার ঋণ কোনোদিন মেটানো যাবে না। আমি চেষ্টা করে যাবো সবার ভালোবাসার প্রতিদান ভালো কাজের বিনিময়ে দিতে।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা