কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানে'র মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিনোদন ডেস্ক

বিনোদন ডেস্ক

২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানে'র মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান যিনি এটিএম শামসুজ্জামান হিসাবেই অধিক পরিচিত। তিনি একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয় বার। এছাড়া, ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সময় তিনি আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

তিনি ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিলেন আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। তিনি ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।

এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় নয়নমণি চলচ্চিত্রটি।গত ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার গ্রহণ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান।

বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৮০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে গভীর গভীর শ্রদ্ধা।

পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news