শীতের আগমন এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ-তোষক কারিগররা। বছরের অন্যান্য সময় তারা বালিশ বানানোর কাজে থাকে। লেপ-তোষকের কাপড়, তুলা ও সেলাই মেশিনসহ সরঞ্জামাদী সাজিয়ে বসেন লেপ-তোষক তৈরি করতে। এবার খানসামা উপজেলার শীত আসার পর থেকে পুরোদমে বিভিন্ন লেপ-তোষকের দোকানে ধুম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরিতে।
জানা যায়, খানসামা উপজেলার সদর, পাকেরহাট, কাচিনীয়া, চৌরঙ্গী, রামকলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। পুরো উপজেলায় এসব দোকানে মহাজন, কারিগরসহ তিন শতাধিকের অধিক শ্রমিক এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
খানসামা বাজারের মহাজন সোহরাব জানান, প্রায় ৩৫ বছর যাবত লেপ-তোষক তৈরির কাজ করেন। আমরা হাত দিয়েই এসব তৈরি করছি। বড় মাপের লেপ কাপড় তুলা সুতাসহ তৈরি খরচ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। ছোট লেপ ১ হাজার ৩শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। গদির দাম নেয়া হয় ২ হাজার ৫শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা। শ্রমিক মজুরি প্রতি লেপ- ২০০ টাকা ও তোষক বা গদি ২৫০ টাকা দিতে হয়। তিনি আরো বলেন, সব কিছুর আকাশ ছোঁয়া দাম তাই বর্তমানে খদ্দেরের সংখ্যাও কম।
লেপ কিনতে আসা মাসুদ বলেন, আগে আমরা অনেক কম দামে লেপ কিনতাম কিন্তু এবার সব কিছুর দাম অনেক বেশি। আগে এক হাজার টাকায় বড় মাপের একটি লেপ তৈরি করেছিলাম।
বর্তমানে উপজেলার শতাধিক প্রতিষ্ঠানে কারিগরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও ধুম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরিতে। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকলেও অবশিষ্ট সময়ে কারিগররা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন।
পত্রিকা একাত্তর / আজিজার রহমান
আপনার মতামত লিখুন :