নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিনামূল্যে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে চক্ষু সেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। ক্যাম্পেইনে এক হাজার ৮৬ জন মানুষকে চক্ষু সেবা প্রদান করা হয়।
বুধবার (২৬শে অক্টোবর) উপজেলার গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডিসিআই, আরএসসি ও ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশন যৌথ আয়োজনে এবং সৈয়দপুর মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের বাস্তবায়নে চক্ষু সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন—সৈয়দপুর মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের ডিজিএম মো. জাকির হোসেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার হুমায়ুন কবীর রোহান, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার মো. ওয়াহেদুজ্জামান, গোমানাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এজাবুল হোসেন শাহ্ প্রমুখ।
যেসব পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ অর্থের অভাবে চোখের ছানি অপারেশন, ঔষধ বা চশমার খরচ বহন করতে অক্ষম, তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এখানকার মোট ১ হাজার ৮৬ জনকে সৈয়দপুর মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের একদল অভিজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান করেন।
জানা যায়, আজকের চক্ষু সেবা ক্যাম্পেইনে এক হাজার ৮৬ জন চিকিৎসা নেন। এতে ১৬৫ জনকে ছানি রোগী, ৩৭৮ জনকে চশমার রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। চশমা রোগীদের মাঝে ২৯১ জনকে ক্যাম্পে চশমা প্রদান করা হয় এবং বাকিদের আগামী ৩রা নভেম্বর একই স্থানে চশমা দেওয়া হবে। এছাড়া ৫৪২ জন রোগীকে ঔষধ প্রদান করা হয়। ছানি রোগে শনাক্তকৃতদের আগামীতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন করানো হবে।
প্রসঙ্গতঃ ২০১৬ সালের ১লা জুলাই রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার শিকার হন ফারাজ হোসেন। এতে জঙ্গিরা বাঙালি মুসলমান হিসেবে ফারাজকে মুক্ত করে দিতে চাইলেও, তিনি তার বন্ধুদের মুক্তি দাবি করেন। জঙ্গিরা না মানলে ফারাজও তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এজন্য জঙ্গিদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন ফারাজ। এর মাধ্যমেই সারাদেশে সাহসিকতা, মানবতা ও বন্ধুত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যান তিনি।
পত্রিকা একাত্তর / রিশাদ