জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় জেলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। আগামীকাল নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন সহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। রাত পোহালেই জেলার ৬টি উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী সহ ২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে ৫ জন ও ২নং ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া ৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে লড়ছেন ২২ জন।
চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক (আনারস প্রতীক)। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদ্য সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল প্রতীক)।
২নং ওয়ার্ড তথা ডোমার উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তারা হলেন—মিজানুর রহমান মিজান (টিউবওয়েল প্রতীক), মনজুর আহমেদ ডন (অটোরিক্সা প্রতীক) ও আতাউর রহমান সাজু (তালা প্রতীক)।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের ১নং ওয়ার্ডে তথা ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। তারা হলেন—মেহেরুন আকতার পলিন, সন্ধ্যা রাণী রায়, শ্যামলী আক্তার, রোকসানা পারভীন দীপ্তি ও লায়লা বেগম।
এবার ডোমার উপজেলায় ১৪৫ জন জনপ্রতিনিধি সহ জেলার মোট ৮৫৮ জন জনপ্রতিনিধি ভোটার হয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন—নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
পত্রিকা একাত্তর / রিশাদ