২০০৯ সালে আবু সুফিয়ানের ‘বন্ধু মায়া লাগাইছে’ ছবির মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সাইফ খানের। প্রথম ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন নিপুণ। এরপর তার অভিনীত মুক্তি পেয়েছে ‘একজনমের কষ্টের প্রেম’ ও ‘পালাবার পথ নেই’। এছাড়া কলকাতার চলচ্চিত্র ‘আমিই টোটো’তে অভিনয় করেছেন তিনি।
ক্রিকেটার হওয়ার শখ ছিল সাইফের, কিন্তু বাবা-মা’র কথা শুনে সে ইচ্ছা ত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের আগ্রহে যুক্ত হন নাটকের দল নাট্যজনে। শহীদুজ্জামান সেলিম পরিচালিত এই সব অন্ধকার শিরোনামের নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ছোট পর্দায় যুক্ত হন। পরবর্তীতে সিনেমার সহকারী পরিচালক মিজানের হাত ধরে পরিচালক আবু সুফিয়ানের সাথে পরিচয় এবং তার পরিচালিত ছবি বন্ধু মায়া লাগাইছে ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিং করেন সাইফ। ক্যারিয়ারের শুরুতে ফ্যাশন হাউজ রঙ এর মডেল হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আরএফএল ওয়ারড্রোব, রবি প্রভৃতি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন।
সাইফ খান ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘স্বামী কেন আসামী’তে অভিনয় করে বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরে যৌথ প্রযোজনার পাশাপাশি বাংলাদেশের বেশ কিছু সিনেমায়ও অভিনয় করেন তিনি। আমিন খান, মান্না, ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, শাকিল খানসহ অনেকের সঙ্গেই বাংলাদেশের সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। ফেরদৌস ও আরিফিন শুভর সঙ্গে অভিনয় করেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমায়। ‘আমিই টোটো’সহ একাধিক ভারতীয় বাংলা সিনেমায়ও দেখা গেছে সাইফকে।
আজ ২৫ শে ফব্রুয়ারি এই অভিনেতা জন্মদিনে পত্রিকা একাত্তর এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা