তার নাম করিমুননেছা। বয়স আনুমানিক ১২০ বছর তবে সঠিক বয়স নির্ধারণ করা যায়নি। তবে এখনো তিনি একা একাই নিজের চলাফেরার জন্য সম্পূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে পারেন। তবে বর্তমান সময় তার চলাফেরা এবং শরীর ঠিক রাখতে ডাক্তারি খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার।
পরিবারের তার নেই স্বামী। আজ থেকে আরো ৩৫ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। দুনিয়ায় রেখে যান স্ত্রী এবং দুটো মেয়েকে। যদিও পরিবারের বাকি দুজন মেয়ে এবং (করিমুননেছা) স্ত্রী ভিক্ষা করে সংসার পরিচালনা করতেন।
একটা সময় এসে তারা সবাই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এখন আর কেউ পারছেন না নিজেদের খাবারটাও ঠিক মত সংগ্রহ করতে। নিজেদের পর্যাপ্ত জায়গা জমি না থাকায় তারা খুবই অসহায়ত্বের মধ্যে জীবন যাপন করছেন।
পত্রিকা একাত্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা বরিশালের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার পূর্ব ফুলঝুড়ি এলাকায় বসবাস করেন। করিমুননেছা ১২০ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও তিনি আহারের সন্ধানে নামেন মানুষের দরজায় দরজায়। দুমুঠো খাবারের জন্য তিনি এদিক ওদিক ছুটে বেরান।
১২০ বছর বয়সে করিমুননেছার এই অবস্থা ধরা পড়ল পত্রিকা একাত্তর এর একজন সংবাদকর্মীর চোখে। তবে গ্রামের আশেপাশে কোন হোটেল না থাকায় তাকে পর্যাপ্ত আপ্যায়ন করতে পারেননি বলে জানান আমাদের সংবাদকর্মী।
পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে থাকে তাৎক্ষণিকভাবে খাবারের চাহিদা পূরণ করে কিছু টাকা এবং কিছু সরঞ্জাম দিয়েছেন। তবে এগুলো দিয়ে হয়তো তার কয়েকদিন চলে গেলেও বাকি দিনগুলো আবার পূর্বের মতোই কেটে যাবে অসহায়ের কড়া গুনতে গুনতে।
এভাবে দুই মেয়ে ও মা জীবন যাপন করছে খুবই অসহায়ত্বের মধ্যে। তাদের দেখার জন্য প্রয়োজন সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য। নিজ ইচ্ছায় কেউ যদি তাদের ফ্যামিলিকে সহযোগিতা করতে চান তাহলে পত্রিকা একাত্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। (মোবাইল – ০১৭০৯-৪২২৭৪৫)
অথবা কেউ নিজে গিয়েও যদি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে উপরের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন। এই মুহূর্তে তাদের আর্থিক সহায়তা অনেক বেশি প্রয়োজন বলে জানান তারা। ১২০ বছর বয়স হওয়া সত্বেও আহারের সন্ধানে যারা এখনো মানুষের দরজায় কড়া নাড়ে তাদের অবস্থা কেমন হতে পারে ভাবতেই যেন শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়।