রাজশাহী ও নওগাঁর দুই বিএনপি নেতার মধ্যে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে, যা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপের মাধ্যমে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
ফোনালাপে রাজশাহী বিএনপির নেতা মাহমুদুল হক (রুবেল) নওগাঁর বিএনপি নেতা ও ঠিকাদার শাহজাহান আলীকে হুমকি দেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। মাহমুদুল হক অভিযোগ করেন, শাহজাহান তার সাথে যোগাযোগ না করেই দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজ পেয়েছেন, যা তার দাবি অনুযায়ী অবিচার।
ঘটনাটি রাজশাহীর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয়ের একটি দরপত্র নিয়ে শুরু হয়। নওগাঁর শাহজাহান আলী দরপত্রে অংশ নেন এবং প্রায় ছয় লাখ টাকায় দুটি লটের কাজ পান। মাহমুদুল হক দাবি করেন, বিএনপির স্থানীয় নেতাদেরও উচিত ছিল দরপত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, কিন্তু শাহজাহান তা উপেক্ষা করেছেন, তাই তিনি ক্ষুব্ধ হন।
ফোনালাপের সত্যতা স্বীকার করে মাহমুদুল হক বলেন, "আমাদের অনেক কর্মী আছে। যখন একটা কাজ হয়, তারা প্রত্যাশা করে কিছু পাবে। শাহজাহান দেখা করেনি, তাই রাগের মাথায় ফোনে বলেছি, তবে অশোভন ভাষা ব্যবহার ঠিক হয়নি।"
শাহজাহান আলী বলেন, "আমাকে ফোন করে বলেছে, আমার তো কিছু করার নেই।"
বিএনপির একাধিক নেতা এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে, এই ধরনের আচরণ কাম্য নয়। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন যে, এটি রাজনীতিতে চাঁদাবাজি ও প্রভাব খাটানোর সংস্কৃতির একটি নগ্ন উদাহরণ এবং গণতন্ত্রের চর্চার প্রতি এক ধরনের বিরূপ মনোভাব প্রতিফলিত করে।