কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য আরেক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেয়া, শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয়া ও নিজের ইচ্ছানুযায়ী সিট বণ্টনসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্তের বিরুদ্ধে। 

গত ১ ডিসেম্বর (শনিবার) রাতে সভাপতি দীপ্ত কয়েকজন নেতাকর্মী সাথে নিয়ে নিজ ইচ্ছামতো হলের শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষের সৃষ্টি করেন।

দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি বেতন দিয়ে হলে থাকি। আমি এখন একটা দরকারে ঢাকা আসছি। আমাকে না জানিয়ে আমার সিটে অন্য একজনকে হুট করে কীভাবে উঠিয়ে দেয় আমি বুঝি না। হল প্রভোস্ট আরো শক্ত হলে সে এই সুযোগ পেতো না। আমি এর বিচার চাই।

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দিপ্ত বলেন, গণরুমে পুলাপান ছিল তাদেরকে আমি সিট দিয়ে দিয়েছি। 'সিট বণ্টনের অধিকার আপনার আছে কিনা'- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের সাথে কথা বলে সিট বণ্টন করেছি। তবে প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এই বিষয় আমি কিছুই জানি না। হলের সিট বণ্টন এটা তো হল প্রভোস্টের কাজ। ছাত্রলীগ সিট বন্টন করবে কেন! হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলে সমন্বয় করে সহযোগিতা করতে পারে। 

সিনিয়র শিক্ষার্থী হল ছেড়ে দেওয়ার আগেই জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, একজন রুমের সিটে থাকা অবস্থায় যদি আরেক জনকে সিটে উঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে এটা অবশ্যই বেআইনি। যদি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এই ধরনের কিছু করে থাকে খোঁজখবর নিয়ে তাকে অবশ্যই এর জন্য সাংগঠনিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ নিজেই দত্ত হলের ৩০০১ নাম্বার রুম দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় ধরে দখল করে একাই থাকছেন। বর্তমানে সপ্তাহে ৪ দিন বাসায় থাকলেও তিনি এ রুমটি দখলে রেখেছেন।

পুরো একটি রুম একাই দখল করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় সাংগঠনিক কাজে আমার রুমটি ব্যবহার হয়।

হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, সিট বণ্টনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমাকে জানিয়ে সিট বন্টন করা হয়নি। আর আমি আজ হলে গিয়ে এই বিষয়গুলো খুঁজ নিব। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, আমি হলের প্রভোস্টের কাছ থেকে শুনে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় আমি ব্যবস্থা নিব।

">

নির্লিপ্ত হল প্রশাসন, অবৈধ হস্তক্ষেপ ছাত্রলীগ নেতা দীপ্তের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

২ জানুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

নির্লিপ্ত হল প্রশাসন, অবৈধ হস্তক্ষেপ ছাত্রলীগ নেতা দীপ্তের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য আরেক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেয়া, শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয়া ও নিজের ইচ্ছানুযায়ী সিট বণ্টনসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্তের বিরুদ্ধে।

গত ১ ডিসেম্বর (শনিবার) রাতে সভাপতি দীপ্ত কয়েকজন নেতাকর্মী সাথে নিয়ে নিজ ইচ্ছামতো হলের শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষের সৃষ্টি করেন।

দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি বেতন দিয়ে হলে থাকি। আমি এখন একটা দরকারে ঢাকা আসছি। আমাকে না জানিয়ে আমার সিটে অন্য একজনকে হুট করে কীভাবে উঠিয়ে দেয় আমি বুঝি না। হল প্রভোস্ট আরো শক্ত হলে সে এই সুযোগ পেতো না। আমি এর বিচার চাই।

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দিপ্ত বলেন, গণরুমে পুলাপান ছিল তাদেরকে আমি সিট দিয়ে দিয়েছি। 'সিট বণ্টনের অধিকার আপনার আছে কিনা'- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের সাথে কথা বলে সিট বণ্টন করেছি। তবে প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এই বিষয় আমি কিছুই জানি না। হলের সিট বণ্টন এটা তো হল প্রভোস্টের কাজ। ছাত্রলীগ সিট বন্টন করবে কেন! হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলে সমন্বয় করে সহযোগিতা করতে পারে।

সিনিয়র শিক্ষার্থী হল ছেড়ে দেওয়ার আগেই জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, একজন রুমের সিটে থাকা অবস্থায় যদি আরেক জনকে সিটে উঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে এটা অবশ্যই বেআইনি। যদি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এই ধরনের কিছু করে থাকে খোঁজখবর নিয়ে তাকে অবশ্যই এর জন্য সাংগঠনিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ নিজেই দত্ত হলের ৩০০১ নাম্বার রুম দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় ধরে দখল করে একাই থাকছেন। বর্তমানে সপ্তাহে ৪ দিন বাসায় থাকলেও তিনি এ রুমটি দখলে রেখেছেন।

পুরো একটি রুম একাই দখল করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় সাংগঠনিক কাজে আমার রুমটি ব্যবহার হয়।

হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, সিট বণ্টনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমাকে জানিয়ে সিট বন্টন করা হয়নি। আর আমি আজ হলে গিয়ে এই বিষয়গুলো খুঁজ নিব।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, আমি হলের প্রভোস্টের কাছ থেকে শুনে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় আমি ব্যবস্থা নিব।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news