দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সহপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। দশ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি। ছোট্ট রাসেল সেদিন ঘাতকদের মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’।
কিন্তু ছোট্ট শিশুর এ মিনতি ঘাতকদের মন একটুও গলাতে পারেনি। নিমিষেই তারা বুলেটের আঘাতে শিশু রাসেলের প্রাণ কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, শিশু রাসেলের রক্তের প্রবাহ আজ বিশ্বময় ছড়িয়ে আছে প্রতিবাদ ও ঘৃণার স্ফুলিঙ্গ হয়ে। নতুন প্রজন্মের জন্য শহীদ শেখ রাসেল অনুপ্রেরণার উৎস। শেখ রাসেল মিশে আছে আমাদের স্মৃতিতে আমাদের স্বাধীনতায়, আমাদের সমৃদ্ধিতে।
১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরের আয়োজনে শেখ রাসেলে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা, বৃক্ষ রোপন কর্মসুচী ও শিক্ষাবোর্ড অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে কেক কেটে জন্মদিনের শুভ সুচনা করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর মোঃ জহির উদ্দীন, শেখ রাসেল উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ লুৎফর রহমান, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাসুদ আলম এবং মন্টু কুমার রায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সেকশন অফিসার শিরিন আকতার। দোয়া পরিচালনা করেন মোঃ মোখলেছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিদর্শক মোঃ ফারাজ উদ্দীন তালুকদার, বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মাহামুদুর রহমান, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল মান্নান, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি তানজিমুল ইসলাম জুয়েল, সাধারন সম্পাদক মওদুদ উল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজার রহমান রাজু, সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সহ অন্যান্য সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।
পত্রিকা একাত্তর / আরমান হোসেন
আপনার মতামত লিখুন :