বাবার অটো ইজিবাইক সহ নিখোঁজের ৭ দিন পর নীলফামারীর ডোমারের স্কুলছাত্র আরিফ হোসেনের (১৪) এর অর্ধগলিত মরদেহ সেচ পাম্প ঘর থেকে উদ্ধারের ঘটনায় ডোমার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন।
শনিবার (২৭শে আগস্ট) রাতে নিহত আরিফের বাবা বাদী হয়ে ডোমার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর–১২।
এর আগের দিন শুক্রবার (২৬শে আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার ডোমার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড়রাউতা মাঝাপাড়া এলাকার একটি সেচ পাম্প ঘর থেকে নিখোঁজ আরিফের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে জেলার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ময়না তদস্ত শেষে শনিবার রাতে পৌরসভার কাজীপাড়ায় জানাজা নামাজ শেষে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।
নিহত আরিফ ডোমার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ছোটরাউতা কাজীপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ছিল।
প্রসঙ্গতঃ গত ১০ আগষ্ট (শুক্রবার) রাতে নিহত আরিফ তার বাবার অটো ইজিবাইক নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়। সেই দিন রাত ৮টার দিকে সে তার মা তফিনা বেগমকে ফোন দিয়ে বলেন সে অটোর যাত্রী নিয়ে বোদার সাকোয়ায় যাচ্ছে। এরপর থেকে তার মোবাইল ও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এ বিষয়ে তার বড়বোন ঝর্ণা আক্তার তার ভাইয়ের নিখোঁজের বিষয়ে শনিবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। যার নম্বর- ১০৩৪।
নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর ২৬শে আগষ্ট ডোমার বড়রাউতা মাঝাপাড়ার সাধুর আশ্রমে একটি সেচপাম্পের ভিতর থেকে তার গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে সিআইডি। এসময় নিহত আরিফের মুখমন্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তার পড়নের কাপড়, হাতে থাকা ঘড়ি ও পায়ের সান্ডেল দেখে আরিফকে চিহ্নিত করেন তার বড়বোন ঝর্ণা আক্তার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডোমার থানার এসআই কাওসার আলম হত্যা মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন তার ছেলে আরিফ হত্যার ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন, যার নম্বর-১২।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ