অবৈধ স্থাপনা অক্ষত, রাস্তা নির্মাণে মালিকানা জমি দখল

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৭ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

অবৈধ স্থাপনা অক্ষত, রাস্তা নির্মাণে মালিকানা জমি দখল

বানেশ্বর থেকে বাঘা লালপুর হয়ে ঈশ্বরদী পর্যন্ত হাইওয়ে রাস্তার কাজ চলছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর বাজারের পূর্ব পাশে বড় ছয়ঘটি মৌজা আর পশ্চিম পার্শ্বে চন্ডিপুর মৌজা। দুই মৌজার মাঝখান দিয়ে হাইওয়ে রাস্তা। এই রাস্তার পশ্চিম কোল ঘেষে ব্যাক্তি মালিকানা জমি। আর পূর্ব পাশে সরকারি জমি দখল করে রয়েছে অবৈধ স্থাপনা। এই সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা রেখে দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যাক্তি মালিকা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, রাস্তার পূর্ব পাশের বড় ছয়ঘটি মৌজায় অবস্থিত রেজাউল করিম এর চা দোকান,রান্টু আলীর ৪টি দোকান, মিলন আলীর মিথিলা মিষ্টান্ন ভান্ডার, শরিফুল ইসলাম, মানিকের বাড়ি, নজরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, ছমির ডাক্তার ও ফজলুর রহমানের সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা ঠিক রেখে সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ জোর পূর্বক চন্ডিপুর বাজারের প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশ ঘেঁসে সাবান আলী, জিল্লুর রহমান খান রিপন আব্দুল আজিজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ, ফজলুর রহমান পাখি, সুপাং আলী, জাহাঙ্গীর আলম, জহুরুল ইসলাম ও মৃত মেজর ময়েজ উদ্দিনের ফজলু বস্ত্রালয়ের জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণ করছে। রান্টু আলী অভিযোগ করে বলেন,পূর্ব পাশে আমার জমি বেশি। এক জনের জমি বেশি আরেক জনের কম নেওয়া হচ্ছে।

একটি প্রভাবশালী মহল প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা ঠিক রেখে ব্যাক্তি মালিকানা জমি দখল করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী জমির মালিকেরা। বাজুবাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফজল মুঠোফোনে জানান,পশ্চিম পাশ থেকে কম নিয়েছে আর পূর্ব পাশ থেকে বেশি নিয়েছে। কোন বাধা বিঘ্ন নেই রাস্তায় যতটুকু জমি লাগবে তা ম্যাপ অনুসারে নিয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ এর সুপারভাই জার আব্দুল আহাদ জানান, পশ্চিম পাশের জমির মালিকদের অভিযোগ সঠিক নয়। উভয় পাশের দোকানদার দের কে নিয়ে সমন্বয় করে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার বলেন, চন্ডিপুরে এমন হওয়ার কথা না আমি বাহিরে আছি তারপরও দেখতেছি। মুঠোফোনে রাজশাহী জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের চীফ ইন্জিয়ার জানান, চন্ডিপুরে কোন প্রকার অধিগ্রহন নেই তাই পাবলিকের জমিতে রাস্তা করার সুযোগ নেই। আপনি যখন অবগত করলেন আমি বিষয় টি দেখবো। বাঘা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুয়েল রানা বলেন, চন্ডিপুরে কোন অধিগ্রহন নির্দেশ নেই। তাই মালিকানা জমির মালিকগন এসিলেন্ড অফিস ও রাজশাহী জেলা সড়ক ও জনপদ অফিসে যোগাযোগ করলে এ বিষয় সমাধান পাবে।

পত্রিকা একাত্তত /রবিউল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news