ও সম্পদ আত্মসাৎ এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী কাজী ইমরান আহমেদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ই আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন—প্রতারণা ও সম্পদ আত্মসাৎ ঘটনার ভুক্তভোগী কাজী ইমরান আহমেদ।
অভিযুক্ত দুই নারী বগুড়ার কর্নেল (অবঃ) জগলুল আহসানের একমাত্র কন্যা, আবার কখনো ব্রিগেডিয়ার শামিম ইয়াজদানী এর ছোটবোন পরিচয়ে প্রতারনা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে কাজী ইমরান আহমেদ বলেন, গত ২ বছর আগে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি এলাকার রফিকুল ইসলাম ও তাহমিনা বেগমের মেয়ে রাহাত জাহান (৩৮) এর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় তার।
এই পরিচয়ের সুত্র ধরে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে রাহাতের বড়বোন চিলাহাটি ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা ও তার স্বামী ডাঙ্গাপাড়া গুচ্ছগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিএম মজিবুর রহমান বিপুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
কাজী ইমরান আরও বলেন, রাহাত জাহান নিজেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার কর্নেল অবঃ জগলুল আহসানের একমাত্র কন্যা পরিচয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে প্রতারনা করে আসছে।
বন্ধুত্বের কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পর তার বোন ও দুলাভাইয়ের আমন্ত্রণে আমি চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন তাদের বাসায় যাই। এক পর্যায়ে তাদের পরিবারের সাথে আমার পরিবারের সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়ে উঠে। ব্যক্তিগত আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে মোটা অংকের টাকার জন্য কিছু জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাহাতের বোন ও দুলাভাই আমার জমির কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংক লোন নিয়ে দেবে বলে আমার কাছ থেকে সুকৌশলে জমির মূল নথিপত্র হাতিয়ে নেয়। পরে জমি বিক্রির ব্যপারে খোঁজখবর নিলে তারা বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা শুরু করে। জমির কাগজপত্র ফেরত দিবে মর্মে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে কৌশলে আমার পার্সপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাংকের চেকবই, ইউসিবি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক এর ব্যাংক কার্ড ও মূল চেকবই, নভো এয়ার ইস্যুকৃত ডুয়েল কারেন্সি কার্ড, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মুল কপি।
নগদ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা এবং এয়ারলাইন্স সমুহের মেম্বারশিপ কার্ড, মূল ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন দেশের মেম্বারশিপ কার্ড, ডিসিআর সংশ্লিষ্ট যাবতীয় এবং ইনকাম ট্র্যাক্সসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্পর্কের অবনতি হলে রাহাত জাহান নিজেকে রাজশাহী মেডিকেলে কর্মরত ব্রিগেডিয়ার শামিম ইয়াজদানী এর ছোটবোন পরিচয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
কিছুদিন পর যাবতীয় কাগজপত্র ফেরত চাইলে রিফাত জাহান জিনিসপত্র ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে আরও ১০ লক্ষ টাকা দাবী করেন বলে জানান ইমরান। তিনি আরও জানান, তার বোন ও দুলাভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তারাও আমার কাছে টাকা চেয়ে বসে।
এছাড়া আমি যদি কোনোরকম আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি, তাহলে আমার চরম ক্ষতি সাধন করার হুমকি প্রদান করেন। তাদের সবার এমন আচরণে আমি দিশেহারা হয়ে যাই, তাই আমি মিডিয়ার শরণাপন্ন হয়ে ঘটনাটির সঠিক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে রাহাত জাহান ও চাঁদ সুলতানার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।প্রসঙ্গতঃ ভুক্তভোগী কাজী ইমরান আহমেদ মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত ষোলঘর ইউনিয়নের কাজী শাহাদাত হোসেন এবং কাজী শিরীনা আক্তারের পুত্র।
পত্রিকাএকাত্তর /আজমির রহমান