বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক ভুয়া পল্লী চিকিৎসককে ভ্রাম্যমান আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাস জেল প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রাবার (১২ আগষ্ট) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১০৭ নং বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবৈধ পল্লী চিকিৎসক (বিটিএফ) এর পরিচালক মোঃ আবুবকর কে ভ্রাম্যমান আদালত কতৃক এ জরিমানা করা হয় সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। অভিজান চলাকালে এই বিটিএফ ভূয়া প্রতিষ্ঠানটির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সকলের চোখ ফাকি দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লোক ঠকানো প্রতারনার ব্যবসা করে আসছেন।
সরেজমিনে ভ্রাম্যমান আদালতকে কোন প্রকার কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোঃ আবুবকর । তাই তাকে আইনের আওয়াতায় এনে এই জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানান, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে এভাবে প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদীন মানুষের সাথে প্রতারনা ছাড়া আর কিছু না। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দেয়া সনদ ভুয়া বলেও জানান তিনি।তাকে সার্বিক সহোযোগীতা করেন মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সেকমো শহিদুল ইসলাম। তাকে বার বার নিষেধ করা হলেও তিনি কথার কোনো কর্ণপাত না করে এভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর টিএইচও ডাক্তার শর্মী রায় এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাকে অবহিত না করে কি ভাবে সে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং প্রদান করেন। তা আমার জানা নেই। এই ভূয়া প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং পরিচালনার জন্য তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ করা হবে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানটি কোন প্রকার বৈধ প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব আইডি খুলে ওয়েবসাইটে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন এই প্রতিষ্ঠানটি কোন অস্তিত্ব নাই। সরকার এই প্রতিষ্ঠানকে কোন পল্লী চিকিৎসক বানানোর অনুমতি দেন নি তাই তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানার আওতায় আনা হয়ছে।
পত্রিকাএকাত্তর /নাজমুল